1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি

৭ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভ্রমণের ব্যাপারে নাগরিকদের ওপর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করেছে তারা৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করে, নিরাপত্তা সংকট নেই দেশে৷

https://p.dw.com/p/2Ykjq
Bangladesch IS-Anschlag in Dhaka - Soldaten
ছবি: Reuters/M. Hossain Opu

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সতর্কতা জারি করে বলে, ‘সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে৷ তাই বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ৷' তবে ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভ্রমণের ক্ষেত্রে এ সতর্কতা নতুন করে জারি করা হয়নি, আগে থেকেই এ সতর্কতা কার্যকর ছিল৷ আর সেটাই আবার জানিয়ে দেয়া হয়েছে নাগরিকদের৷' বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করার অংশ হিসেবে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসীরা হামলার পরিকল্পনা করছে৷ মার্কিন স্থাপনা, নাগরিক ও স্বার্থে এ হামলা হতে পারে৷'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ‘আফগানিস্তানের কোনো এলাকাই সহিংসতা থেকে মুক্ত নয়৷ প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী সংগঠন, আদিবাসীদের বিদ্রোহী গ্রুপ ও অন্যান্য জঙ্গিরা পাকিস্তানেও মার্কিন নাগরিকদের জন্য হুমকি৷' এছাড়া উগ্রপন্থিরা ভারতেও সক্রিয় বলে জানানো হয়েছে ঐ সতর্ক-বার্তায়৷

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসী হামলা, রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হঠাৎ করেই ঘটে৷ ফলে এই তিনটি দেশ ভ্রমণের সময় মার্কিন নাগরিকদের অত্যাধিক সতর্কতা এবং নিজেদের নিরাপত্তায় সচেতন থাকতে হবে৷'

মাসুদুর রহমান

সতর্ক-বার্তায় আরো বলা হয়, ‘আইএস, আল-কায়েদা এবং তাদের সমর্থকর বিশ্বের নানা জায়গায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে৷ উগ্রপন্থিরা প্রচলিত ও অপ্রচলিত অস্ত্র দিয়ে মার্কিন সরকারি ও বেসরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনার ওপর হামলা চালাতে পারে৷'

বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের এই ভ্রমণ সতর্কতার ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশসনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই৷ হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর বিদেশিদের নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ বিদেশি নাগরিক এবং বিদেশি স্থাপনায় বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের এখন বড় ধরনের কোনো হামলা চালানোর শক্তি বা সংগঠন কোনোটাই নেই৷ শীর্ষ জঙ্গিরা হয় ধরা পড়েছে, নয় নিহত হয়েছে৷ আর তারা পুলিশের তৎপরতার কারণে নতুন করে সংগঠিত হওয়ারও সুযোগ পচ্ছে না৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশিরা অতিথিপরায়ণ এবং বিদেশিরা এখানে নিরাপদ৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান