ফাঁসির দাবিতে নীরবতা
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ঠিক বিকেল চারটায় সব কিছু স্থির হয়ে যায়৷ পথচারী থেমে যান৷ গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে যায়৷ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে হাজারো মানুষ নীরব হয়ে যান৷ নীরবতাই অনেক বেশি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে৷ সবাই দাঁড়িয়ে যান, তুলে ধরেন হাত৷ বুকে পোস্টার৷ একটিই দাবি৷ রাজাকারের ফাঁসি৷
দাঁড়িয়ে এই ৩ মিনিটের প্রতিবাদী নীরবতা অভূতপূর্ব৷ শুধু ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশ একাত্ম হয়৷ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সবখানে ৩ মিনিটে একই দৃশ্য৷ আর ৩ মিনিট শেষে আবার গর্জে ওঠেন সবাই৷
নারী-পুরুষ-শিশু সবার একটাই দাবি – রাজাকারের ফাঁসি৷ ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তারা কেউ ঘরে ফিরবে না৷
মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সবাই সমবেত হয়েছেন৷ তাদের কথা, এটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ৷ তরুণদের জয় হবেই৷ তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবার জাগিয়ে তুলেছেন৷
তরুণ যুবারা বললেন, তাদের এখন আর কোন কাজ নেই৷ সব কাজ ফেলে এখন তাঁরা মাঠে নেমেছেন রাজাকারদের ফাঁসির দাবি নিয়ে৷ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নীরবতা পালন শেষে বললেন, তারুণ্য জেগেছে, এবার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হবেই৷
বিকেল ৪টায় এই কর্মসূচির আগে জামায়েত-শিবির ঢাকার মতিঝিল, কারওয়ান বাজার ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় তাণ্ডব চালায়৷ করে ভাঙচুর৷ আর এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন৷ তাদের তাণ্ডবে গুলিবিদ্ধ হন ২ জন পথচারী৷ কিন্তু তাদের এই তাণ্ডবে প্রতিবাদী জনতা ভয় না পেয়ে আরো তীব্রভাবে জেগে ওঠে৷ তাদের কথা, এবার জামায়েত-শিবিরকে প্রতিরোধ করা হবে, করা হবে প্রতিহত৷ এই বাংলায় তাদের ঠাঁই হবেনা৷