রোহিঙ্গা সমস্যায় মনোযোগ দেবেন সু চি
১৫ জুন ২০১২মিয়ানমারে বসবাসরত প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার ভাগ্যে কী রয়েছে, তা নিয়ে বেশ সমস্যা দেখা দিয়েছে দুটি দেশে৷ মিয়ানমারের আদি বাসিন্দাদের, বিশেষ করে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমান, যারা মিয়ানমারের মানুষ নয়৷ রোহিঙ্গাদের দাবি, তারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী এবং দীর্ঘকাল ধরে সেদেশে বসবাস করছে তারা, অংশ নিয়েছে সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে, সেক্ষেত্রে কেন অকস্মাৎ মিয়ানমার তাদের অস্বীকার করছে? আর বাংলাদেশ সরকার সাফ জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে না৷ টেকনাফ সীমান্ত সিল করে দিয়েছে ঢাকা৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সংসদে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন৷
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার দুই দিনেই অসংখ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই নৌকোকে নাফা নদী দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ সেখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়েও বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের মতের অমিল৷ বিরোধী বিএনপি শুক্রবার দাবি তুলেছে, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মাটিতে আসতে দেওয়া উচিত হাসিনা সরকারের৷ যে বিষয়ে সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয়৷ এমনকি আন্তর্জাতিক অনুরোধেও কর্ণপাত করতে শোনা যাচ্ছে না বাংলাদেশ সরকারকে৷ জাতিসংঘের তরফে বাংলাদেশের কাছে এ বিষয়ে অনুরোধ এসেছিল সাম্প্রতিক অতীতে৷
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক পরিস্থিতি ক্রমশ করুণ হয়ে উঠছে৷ ইউরোপ সফররত মিয়ানমারের বিশ্ব বরেণ্য গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সাং সু চি'কে একাধিক জায়গাতে রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ সু চি অবশেষে বৃহস্পতিবার সুইৎসারল্যান্ডের বার্নের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাঁর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, সু চি বেশ কিছুদিন ধরে সফরে থাকার ফলে তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে৷ তবে সু চি একথা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি যাতে সযত্নে বিচার বিবেচনা করা যায় সে বিষয়ে তিনি লক্ষ্য রাখবেন৷
এসইউবি / ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)