সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ
১৩ জুলাই ২০১২বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক পরিষদ - আইওসি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো সৌদি আরবকে চাপ দিয়ে আসছিল নারী ক্রীড়াবিদদের মাঠে নামার সুযোগ দেওয়ার জন্য৷ অবশেষে কাতার এবং ব্রুনেই এর পর এবার অলিম্পিক আসরে নারী ক্রীড়াবিদ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল অতিরক্ষণশীল মুসলিম দেশ সৌদি আরব৷ আইওসি'র প্রেসিডেন্ট জ্যাকস রগ বলেন, ‘‘কাতার এবং ব্রুনেই-এর পাশাপাশি সৌদি আরব থেকেও নারী ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ থাকলে লন্ডন ২০১২ আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি জাতীয় দলেই নারীর উপস্থিতি ঘটতে যাচ্ছে৷''
সৌদি আরবের জাতীয় দলের হয়ে এবারের অলিম্পিক আসরে জুডো'তে প্রতিযোগিতা করবেন ওয়াদজান আলি সিরাজ আব্দুলরাহিম শাহরখানি৷ আর ৮০০ মিটার দৌড়ে মাঠে নামবেন সারাহ আত্তার৷ ক্যালিফোর্নিয়ার পেপের্ডাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন আত্তার৷ স্যানডিয়েগো'র প্রশিক্ষণের মাঠ থেকে আইওসি'র সাথে ভিডিও বার্তায় ১৭ বছর বয়সি সারাহ আত্তার বলেন, ‘‘সৌদি আরবের হয়ে প্রথম নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিক আসরে অংশগ্রহণটাই আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণার বিষয়৷ এটা অনেক বড় সম্মানের ব্যাপার এবং আমি আশা করি সৌদি নারীদের আরো বেশি ক্রীড়া জগতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷''
প্যান্ট এবং মাথায় হিজাব পরে অনুশীলন করতে করতে আত্তার বলেন, ‘‘আমার দেশের যেসব মেয়েরা খেলায় অংশ নিতে চায়, আমি তাদের বলবো, এগিয়ে যাও৷ পেছন থেকে কেউ যেন তোমাদের আটকাতে না পারে৷ আমাদের সবার প্রতিভা ও সম্ভাবনা রয়েছে বাইরে বেরিয়ে আসার এবং একটু নড়ে চড়ে কাজ শুরু করার৷''
অলিম্পিক আসরে নারী ক্রীড়াবিদদের মনোনয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর মুখপাত্র মিনকি ওয়ারদেন বলেন, ‘‘দুই সৌদি নারী লন্ডন আসরে অংশ নেওয়ার ঘটনা একটি বড় অগ্রগতি৷ তবে এটি আমাদের ভুললে চলবে না যে, এখনও সৌদি আরবের বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত লাখো মেয়ে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত৷'' এখন আইওসি দেশটির বিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের জন্য খেলাধুলার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারে বলে মনে করেন ওয়ারদেন৷
এএইচ / জেডএইচ (এপি)