1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া সফরে ক্যামেরন ও সার্কোজি

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১

গাদ্দাফিহীন লিবিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আরও বাড়লো৷ পশ্চিমা বিশ্বের শীর্ষ দুই নেতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি বৃহস্পতিবার সেদেশ সফরে যান৷

https://p.dw.com/p/12ZoM
ত্রিপোলির একটি হাসপাতালেছবি: dapd

এদিকে গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতের নিয়ন্ত্রণ পেতে সেদিকে রওয়ানা হয়েছেন বিদ্রোহীরা৷

দুই নেতার সফর

ক্যামেরন ও সার্কোজি দু'জন আলাদা বিমানে লিবিয়া যান৷ এরপর তাদের হেলিকপ্টারে করে ত্রিপোলির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে পশ্চিমা দুই নেতাকে স্বাগত জানান হাসপাতাল কর্মীরা৷ হাসপাতালে তারা যুদ্ধে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন৷ দুই নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রান্সের পুলিশ কর্মীরা হাসপাতাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছিল৷ হাসপাতালের এক ডাক্তার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু অসুবিধার কথা জানান৷ ঐ ডাক্তার বলেন কিছু রোগী আছে যাদের পুরোপুরি সুস্থতার জন্য উন্নত সার্জারি দরকার৷ জানা গেছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ৫০ জন লিবীয় রোগীর জন্য ব্রিটেনের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন৷ হাসপাতাল থেকে পশ্চিমা দুই নেতা লিবিয়ার বর্তমান সরকারের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করতে ত্রিপোলির একটি হোটেলে যান৷ এরপর সবাই মিলে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন৷

সংবাদ সম্মেলন

দুজনই বললেন লিবিয়ায় যুদ্ধ এখনো শেষ হয়ে যায়নি৷ কেননা এখনো গাদ্দাফিকে ধরা যায়নি৷ এছাড়া কিছু এলাকা এখনো গাদ্দাফি সমর্থকদের দখলে রয়েছে৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে ‘বিপজ্জনক' আখ্যা দিয়ে তাকে ধরতে ফ্রান্সের সহায়তা দেয়ার কথা জানান৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতদিন না লিবিয়ার সাধারণ জনগণ বিপদমুক্ত হতে পারছে ততদিন ন্যাটোর অভিযান চলবে৷ এছাড়া তিনি লিবিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন পাউন্ড সমপরিমাণ সম্পদ ছাড়ের অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি বলেন জাতিসংঘের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই সেটা সরকারকে দেয়া হবে৷ এদিকে এনটিসি'র চেয়ারম্যান মুস্তফা আবদেল জলিল যুদ্ধে সহায়তা দেয়ার জন্য দুই নেতার ‘সাহসী' ভূমিকার প্রশংসা করেন৷

NO FLASH Cameron in Libyen
হাসপাতালে পৌঁছার পরছবি: dapd

তেল চুক্তি

এনটিসি চেয়ারম্যান জলিল বলেছেন যে, বিদেশি শক্তির মধ্যে যারা গাদ্দাফিকে হটাতে সহায়তা করেছে, তেলের চুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে৷ সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন আর সার্কোজির সামনে তিনি এই কথা বলেন৷ এছাড়া গাদ্দাফি শাসনামলে যে চুক্তিগুলো হয়েছে সেগুলোও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান এনটিসির প্রধান জলিল৷

সিরতে অভিযান

গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে'র নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে বিদ্রোহীরা৷ ভারী অস্ত্রশস্ত্র যেমন মেশিনগান, রকেট লঞ্চার সহ পর্যাপ্ত পানি ও খাবার নিয়ে বিদ্রোহীরা সিরতে'র উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে বৃহস্পতিবার৷ তিন দিক দিয়ে সিরতে'তে অভিযান চালানোর কথা বলেছেন বিদ্রোহীরা৷ তবে ত্রিপোলির চেয়ে সিরতেতে তারা বেশি প্রতিরোধের মুখে পড়বে বলেই মনে করছে তারা৷ কারণ গাদ্দাফির সমর্থকরা ত্রিপোলি ছেড়ে সিরতেতেই আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এদিকে সিরতের কাছে গাদ্দাফি সমর্থকদের একটি গাড়ির বহরে হামলা করেছে ন্যাটো৷ আর ন্যাটোর সুবিধার্থে নিজেদের গাড়িগুলোর ছাদে লাল ও হলুদ রং করেছে বিদ্রোহীরা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য