1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরে যেতে হচ্ছে শরণার্থীদের

১৬ মার্চ ২০১৬

মানুষ নয়, ওরা যেন ‘মৃত্যুর মেশিন'৷ গ্রিসে ফিরে এ কথাই বললেন এক অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ নিজেদের সীমান্ত থেকে ১৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রিসে ফেরত পাঠিয়েছে ম্যাসিডোনিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা৷

https://p.dw.com/p/1IDtk
ইডোমেনির শরণার্থীরা
ছবি: DW/D.Tosidis

গ্রিসের ইডোমেনি শহরের শরণার্থী শিবিরে কিছুদিন মানবেতর জীবনযাপনের পর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পেরিয়ে, নদী অতিক্রম করে ম্যাসিডোনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছিল ১৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ ম্যাসিডোনিয়া থেকে জার্মানি বা ইউরোপের অন্য কোনো ধনী দেশে যাওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য৷ ম্যাসিডোনিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ধরে ধরে ট্রাকে তুলেছে, সেই ট্রাক তাদের আবার পৌঁছে দিয়েছে ইডোমেনির সেই শরণার্থী শিবিরে যেখানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ, খাওয়া, ঘুমানো বা পয়ঃনিষ্কাশণের একেবারেই সুব্যবস্থা নেই৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, ম্যাসিডোনিয়ার সীমান্তে পৌঁছানো মাত্রই তাদের সঙ্গে রুক্ষ আচরণ শুরু করে সীমান্তরক্ষীরা৷ ২৫ থেকে ৫০ জনের একেকটা দলে ভাগ করে ট্রাকে তুলে দেয়া হয় তাদের৷ ট্রাক তাদের ফিরিয়ে আনে যেখান থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাহাড়ের দুর্গম পথ অতিক্রম করেছিলেন, গ্রিসের সেই ইডোমেনিতে৷

Idomeni's refugees

ম্যাসিডোনিয়াসহ পশ্চিম বলকান দেশগুলো শরণার্থীদের স্রোত থামানোর জন্য নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রিস থেকে ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ কমছিল৷ এবার আরো কঠোর হতে দেখা গেল ম্যাসিডোনিয়ার নিরাপত্তা রক্ষীদের৷

১৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানোর পর আরো ৬০০ জনকে সীমান্ত অতিক্রমে বাধা দেয়া হয়েছে৷ বাধা পেয়ে ফিরতে বাধ্য হওয়া মানুষদের গ্রিসের পাহাড়ে রাত কাটাতে হয়েছে৷

এ মুহূর্তে অন্তত ৪৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রিসে অপেক্ষা করছে৷ ইডোমেনিতে রয়েছে অন্তত ১২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা৷ ইডোমেনির ১২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে এক হাজারেরও বেশি শিশু বলে জানা গেছে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান