1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরে যেতে হবে শরণার্থীদের

৮ মার্চ ২০১৬

গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তুরস্ক আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে৷ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলন শেষে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এ কথা জানান৷

https://p.dw.com/p/1I94Z
Grenze Griechenland Mazedonien Flüchtlinge
ছবি: DW/D. Tosidis

সোমবার দীর্ঘ আলোচনা শেষে ইইউ-এর সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছায় তুরস্ক৷ ইইউ-র ২৮ সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷

ইউরোপের শরণার্থী সংকটে তুরস্ক এখন অনেকাংশেই নিয়ন্তার অবস্থানে৷ সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে তুরস্ক হয়েই গ্রিসে প্রবেশ করছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ সে কারণেই তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে শরণার্থী সংকট নিরসনের এই উদ্যোগ৷

মঙ্গলবার জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্রাসেলসের বৈঠকে এ সংকট নিরসনের পথে অনেকটাই অগ্রসর হওয়া গেছে৷ তিনি জানান, গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ ইইউ-র অন্যান্য নেতারাও মনে করছেন, ইইউ-তুরস্কের এই সমঝোতার মাধ্যমে শরণার্থী সংকটে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে৷ এর ফলে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীদের আগমন বন্ধ হবে বলেও তাঁদের আশা৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর অবশ্য বলকান অঞ্চল দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে৷ সিরিয়ার চলমান যুদ্ধের কারণে যারা ইউরোপে আশ্রয় নিতে চান তাদের জন্য অভিবাসনের সুযোগ থাকা উচিত বলে সংস্থাটি মনে করে৷

ব্রাসেলসের বৈঠকে অবশ্য সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে আগমন বন্ধ হয়ে যায়নি৷ বরং ইইউ বলছে, অবৈধভাবে অভিবাসী হওয়ার লাগামহীন অপপ্রয়াস রুখতেই এবারের এই উদ্যোগ৷ এ উদ্যোগের প্রথম ধাপে গ্রিসে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে৷ তার পরে শুরু হবে তুরস্ক থেকে বৈধ উপায়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে পাঠানো৷ সেই পর্যায়ে সিরিয়া সংকটের প্রকৃত শিকাররাই অভিবাসনের সুযোগ পাবেন, অন্যরা নয়৷ সুতরাং বলকান অঞ্চল দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশ আপাতত বন্ধ হলেও, দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে না৷

ইউরোপকে শরণার্থী সংকট নিরসনে সহায়তা করার পাশাপাশি শরণার্থীদের কারণে নিজেদেরও যে সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার পথ তুরস্কও খুঁজছে৷ গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে নেয়ার বিনিময়ে আগের অঙ্গীকারের বাইরেও ৩ বিলিয়ন ইউরো দাবি করেছেন আহমেদ দাভুতোগলু৷ তুর্কি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তুরস্কে এ মুহূর্তে যে ২৭ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে, তাদের পেছনে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে৷ সুতরাং ইউরোপ আর তুরস্কের মধ্যে শরণার্থীর দায়িত্ব ভাগাভাগি করার স্বার্থেই একটা সুন্দর সমঝোতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন৷

সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তই অবশ্য চূড়ান্ত নয়৷ আগামী ১৭ ও ১৮ই মার্চে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী বৈঠকে গ্রিসে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভাগ্য চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান