আন্দোলন কর্মসূচি
১ সেপ্টেম্বর ২০১২তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে এই মাস থেকেই শুরু হল বিএনপির দেড় মাস ব্যাপী সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি৷ এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ, গণমিছিল, গণসংযোগ ও জনসভা৷ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এই সময়ের মধ্যে মহানগর, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বেশ কিছু জনসভায় বক্তব্য রাখবেন এবং জনসংযোগ করবেন৷ তবে হরতালের মত কোন কঠোর কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি৷ বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তাদের এই কর্মসূচিকে কেউ দুর্বল ভাবতে পারেন, সেটা তাদের ব্যাপার ৷ তবে এটি বিএনপির আন্দোলনের একটি কৌশল৷ এর মধ্য দিয়েই আন্দোলন তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছবে৷ দেশের সাধারণ মানুষ সরকার বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবে৷
তিনি বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হয় একটি পরিস্থিতিকে ধারণা করে৷ তবে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন কোন দিকে যাবে, তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর৷
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মনে করেন, বিএনপির আন্দোলনকে আপাতত নিরীহ মনে হলেও এর আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে৷ তিনি বলেন অতীতে তারা নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে৷
তিনি বলেন, সরকার বিএনপির এই আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করবে৷ তবে তা যদি দেশের মানুষের শান্তি ভঙ্গের কোন কারণ হয় তাহলে মানুষের জান মাল রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেবে৷
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করতে পারে৷ কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না৷ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে ভাবতে পারে বিরোধী দল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন