শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন সালেহ
১ মে ২০১১রোববার আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক পরিষদ ‘গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল' এর সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘‘চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে৷'' তবে কখন বা কোথায় আদৌ নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি জিসিসি৷ কেবল বলা হয়েছে, আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোববার এ নিয়ে ইয়েমেনে বৈঠক করবেন৷
এদিকে প্রেসিডেন্ট সালেহ জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না, দলীয় প্রধান হিসেবে করবেন৷ আর দলীয় প্রধান হিসেবে স্বাক্ষর করলে তাকে এখনই ক্ষমতা ছাড়তে হবে না৷ এদিকে সালেহর এই সিদ্ধান্তের পর বিরোধী দলগুলো জানিয়েছে তারা সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন আরও জোরদার করবে৷
জিসিসি'র ঐ সমাঝোতা প্রস্তাব অনুয়ায়ী, চুক্তিতে সালেহ এবং বিরোধীদের স্বাক্ষর করার এক মাসের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা ছিল প্রেসিডেন্ট সালেহর৷ সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহিংসতার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সালেহকে বিচারের মুখোমুখি করা হবেনা-জিসিসি'র প্রস্তাবে এমন শর্তও ছিল৷ ফলে চুক্তিটিতে আগে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছিলেন সালেহ এবং শনিবার সানায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা ছিল তাঁর৷ আর রোববার সৌদি আরবে ঐ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা ছিল বিরোধীদের৷ কিন্তু শনিবার সন্ধায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জিসিসি'র সদস্য রাষ্ট্র কাতারের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের বিষয়ে আপত্তি তোলেন সালেহ৷
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট সালেহ গত ৩৩ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন৷ সালেহর শাসন অবসানের দাবিতে ইয়েমেনে গত তিনমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে৷ এবং বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে প্রায় দেড়শ' মানুষ৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম