1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নতুন রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ নেয়া উচিত’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ এপ্রিল ২০১৩

নতুন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন দেশের সুশীল সমাজ৷ তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা না থাকলেও তার নৈতিক ক্ষমতা আছে৷

https://p.dw.com/p/18Mq2
ছবি: DW

বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আবদুল হামিদ৷ বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ পাঠ করান ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলী৷ শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ ছিলেন জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ তবে বিএনপির নেতারা শপথ অনুষ্ঠানে যাননি৷

আবদুল হামিদ দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন৷ দেশে এখন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবিতে বিএনপি'র নেতৃত্বে ১৮ বিরোধী দল রাজপথে আন্দোলন করছে৷ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করার জন্য অনড় অবস্থানে আছে৷ এ নিয়ে অব্যাহত আছে সংঘাত সহিংসতা৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, দেশে এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নতুন রাষ্ট্রপতি বড় একটি ভূমিকা রাখতে পারেন৷ তিনি সরকারী দলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন৷ কথা বলতে পারেন বিরোধী দলের সঙ্গে৷ দুই দলকেই তিনি একটি যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে আসতে পারেন৷ অধ্যাপক ইমতিয়াজ আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির তেমন সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই সত্য৷ কিন্তু রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গ্রহণযোগ্যতা আছে৷ আছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা৷ আর তাঁর নৈতিক ক্ষমতা আছে৷ তিনি যদি সত্যিকার অর্থেই দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান চান, তাহলে তাঁর পক্ষে উদ্যোগ নেয়া কঠিন কোন কাজ নয়৷ আর এই উদ্যোগে তিনি দেশের সাধারণ মানুষেরও সমর্থন পাবেন৷'' তাঁর মতে, এর আগে আওয়ামী লীগ শাসনামলে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তার নৈতিকতার জোরে কাজ করেছিলেন৷ কথা বলেছিলেন বিরোধী দলের সঙ্গে৷

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আরও বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি এখন আর কোন দলের নন৷ তিনি সবার৷ তাই দেশের সবার কল্যাণে তিনি উদ্যোগ নেবেন, এটা দেশবাসী আশা করতেই পারে৷ আর তিনি এই সরকারের মেয়াদে নয়, আগামী ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন৷

এদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নতুন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নিরপেক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতার সুনাম আছে৷ স্পিকার হিসেবে তিনি দলীয় বিবেচনায় কাজ করেননি৷ তাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সুবিবেচক হবেন, এটা ধরেই নেয়া যায়৷ আর সে জন্য তাঁর কাছে প্রত্যাশাও বেশি৷ দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তিনি যদি কোন উদ্যোগ নেন, তাহলে সবার সমর্থন পাবেন৷'' হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আশা করেন, তিনি উদ্যোগ নেবেন৷ দেশের এই সংকটে নতুন রাষ্ট্রপতি বসে থাকবেন না বলেই মনে করেন তিনি৷

Bangladesch Proteste Jamaat-e-Islami
সংকট নিরসনে নতুন রাষ্ট্রপতি কী উদ্যোগ রাখতে পারবেন?ছবি: Reuters
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য