সংলাপের চিঠি দেবে সরকার
৩ মে ২০১৩প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সংসদ বা সংসদের বাইরে যে কোনো জায়গায় আলোচনার প্রস্তাব দেন৷ এর জবাবে দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সংলাপ বা আলোচনার জন্য সুনির্দিষ্ট এবং লিখিত প্রস্তাবে চান৷ তা পেলেই বিএনপি আলোচনায় রাজি বলে জানান তিনি৷
সন্ধ্যায় তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ৷ স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বিএনপিকে আলোচনার জন্য চিঠি দেয়া হবে৷ আর এই আলোচনা হবে সুনির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন নিয়ে৷
সরকারি দলের এই অবস্থান নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷
তিনি বলেন, সরকার তার অনঢ় অবস্থান থেকে দৃশ্যত কিছুটা সরে আসছে৷ কিন্তু বিএনপি এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না৷ তারা সরকারের এই অবস্থান গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে৷ তারা সত্যিই আলোচনা চায়, না সময় ক্ষেপণের নতুন কৌশল নিচ্ছে – তা বুঝতে চায় বিএনপি৷
তিনি বলেন, বিএনপিকে সংলাপের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়ার পরই বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করা যাবে৷ কারণ চিঠিতে সরকার কি প্রস্তাব দেবে, কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইবে তা বিএনপির শীর্ষ নেতারা দেখে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তাই চিঠি পাওয়ার আগে বিএনপি কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছে না৷
সৈয়দ আশরাফের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব সুনির্দিষ্ট কিনা? জানতে চাইলে ড. মোশাররফ বলেন, সেটা তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট হতে পারে৷ কিন্তু বিএনপির দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার৷ আগামী নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হবে না৷ আর সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়ে অন্য কিছুও হতে পারে৷ সরকারে সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিএনপির কারুর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কথা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর জানা মতে এখনো না৷
এদিকে বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ বিএনপির ছয়জন শীর্ষ নেতা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন৷ এটা সরকারের সদিচ্ছার ইঙ্গিত কিনা জানতে চাইলে ড. মোশাররফ বলেন, তারা আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন৷