1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে সাইবার আক্রমণ

ইয়েন্স টুরাও/এসি১১ জুন ২০১৫

আমরা সকলেই ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটে নির্দ্বিধায় ঘোরাফেরা করি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত খবরাখবর জানাই, জিনিসপত্র কিনি, ব্যাংকের কাজ করি৷ রাজনীতিকরাই বা বাদ যাবেন কেন? ইয়েন্স টুরাও-এর সংবাদভাষ্য৷

https://p.dw.com/p/1Ffmz
Deutschland Bundestag Bundestagsdebatte Ruanda Plenarsaal
ছবি: picture-alliance/dpa

তবে রাজনীতিকরা আমাদের মতো না হলেই বোধহয় ভালো হতো, কেননা জার্মান সংসদের উপর যখন একটা বড় আকারের সাইবার আক্রমণ হয়, তখন সেটা অন্য মাত্রায় পৌঁছায়৷ রাজনীতিকরা স্বয়ং মনে করছেন, এর পিছনে কোনো বড় অপরাধী চক্র আছে – সম্ভবত পূর্ব ইউরোপের কোনো অপরাধী চক্র; যদি না এটা খোদ কোনো রাষ্ট্রের (অ) কাজ হয়!

এখন সম্ভবত বুন্ডেস্টাগ, অর্থাৎ জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে গোটা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার বদলে ফেলতে হবে, কেননা এই সাইবার আক্রমণ সংসদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের গভীরে ঢুকো পড়েছে, অ্যাডমিন রাইটগুলোও হাতিয়ে ফেলেছে৷ আরো বড় কথা: এই সাইবার আক্রমণ নাকি এখনও শেষ হয়নি!...

DW-Mitarbeiter Jens Thurau
ইয়েন্স টুরাও, ডয়চে ভেলেছবি: DW/D. Engels

খুব আনন্দের কথা নয়: সংসদের প্রতিরক্ষা কমিটি অস্ত্র রপ্তানি নিয়ে মাথা ঘামায়; বিদেশনীতিমূলক কমিটি জার্মান বিদেশনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করে৷ এই সব কমিটিতে বিশেষভাবে গোপনীয় তথ্য নিয়ে নাড়াচাড়া করা হয়৷ তা সত্ত্বেও মনে হয়, অতীব স্পর্শকাতর আইটি সিস্টেমটিকে যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সুরক্ষিত করা উচিত, সে'চেতনা এখনো সর্বত্র ব্যাপ্ত হয়নি৷

সাইবার আক্রমণ জানাজানি হওয়ার চার সপ্তাহ হতে চলল, সাংসদরা এখনো জানেন না, তাদের ঠিক কি করা উচিত, আক্রমণটাই বা কতটা গুরুতর ছিল৷ সংসদ সভাপতি কিছু বলছেন না; তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে যে ফেডারাল কার্যালয়, তারাও মুখ খুলছে না; গুপ্তচর বিভাগ নীরব৷ হয়ত তারাও এর বেশি কিছু জানেন না বলে৷ সেটা তো আরো বেশি চিন্তার কথা৷

ঘটনাটা ঘটল আবার ঠিক এমন একটা সময়ে, যখন জার্মানির মানুষ মার্কিন এনএসএ সংস্থার সঙ্গে জার্মান বিএনডি সংস্থা – অর্থাৎ গুপ্তচর বিভাগের যোগসাজসে জার্মান নাগরিকদের উপর ব্যাপক আড়ি পাতার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজিত৷ অবশ্য সেখানেও অধিকাংশ নাগরিক তথা রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া নিয়তিতে বিশ্বাস (‘‘মার্কিনিরা ঐরকমই; ওদের কোনোদিন আটকানো যাবে না'') এবং চিন্তাহীনতা (‘‘আমাদের লুকনোর মতো কিছু নেই, কাজেই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই''), এ দু'য়ের মাঝামাঝি৷ এছাড়া স্বয়ং চ্যান্সেলরের মোবাইলের উপর (মার্কিনিরা) আড়ি পাতলে, পথঘাটের আপামর জনতা কিছুটা খুশি অনুভব করেন বৈকি৷

ম্যার্কেলের নতুন খবর হলো, তিনি এবার ইনস্টাগ্রামে আসন নিয়েছেন এবং সেখানে নানা হর্ষসূচক ছবি পোস্ট করাচ্ছেন – যেগুলো সঙ্গে সঙ্গে রুশ ট্রল-দের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে, যাদের অধিকাংশই হেট স্পিচ, নয়ত জার্মানির ইউক্রেন নীতির সমালোচনা৷ মজার কথা: এক্ষেত্রেও চ্যান্সেলরের দপ্তরের কেউ নাকি আদৌ প্রস্তুত ছিলেন না, তাই সাততাড়াতাড়ি রুশি কিরিলিক হরফে লেখা সে'সব বার্তা মুছে দেওয়া হয়েছে৷

অর্থাৎ সরকার এবং সংসদের সরলতা কিংবা চিন্তাহীনতা৷ কিন্তু সংসদের এত বেশি সদস্য এবার রুষ্ট যে, যা বহুদিন আগে ঘটা উচিত ছিল, এবার ঠিক তা-ই ঘটতে পারে: ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আরো কর্মীনিয়োগ; নতুন নিরাপত্তা সফটওয়্যার কেনার জন্য আরো অর্থবরাদ্দ এবং আরো বেশি করে খুঁটিয়ে দেখা৷ সাইবার আক্রমণ কোনোকালেই পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না, এমনকি বড় আকারের সাইবার আক্রমণও নয়৷ তবে সেগুলোকে সিরিয়াসলি নিতে হবে বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান