গণজাগরণ মঞ্চ: গন্তব্য কোথায়?
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬বিজ্ঞাপন
২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রয়ারি ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সূত্রপাত হয়৷ শাহবাগ চত্বরে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরোধিতায় সমবেত হন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টসহ সাধারণ মানুষ৷ তারা দাবি তোলেন মৃত্যুদণ্ডের৷ শাহবাগ হয়ে ওঠে উত্তাল৷ লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এই আন্দোলন আরব বসন্তের মতো নাম পায় ‘বাংলার বসন্ত’ হিসেবে৷
এরপর ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন এবং আপিলে কাদের মোল্লার মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে তাদের দাবি পূরণ হয়৷ ধীরে ধীরে শাহবাগের জমায়েত শেষ হয়, কিন্তু তারপরেও কার্যকর থাকে গণজাগরণ মঞ্চ৷ ২০১৪ সালে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে নানা পক্ষের তৎপরতা দেখা যায়৷ দেখা যায় ভাঙনের আলামত৷ গণজাগরণ মঞ্চ সবচেয়ে বেশি বিরোধীতার শিকার হয় হেফাজতে ইসলামের কাছ থেকে৷ রাজীব হায়দারসহ সারা দেশে কম করে দশজন ব্লগার ও কর্মী নিহতও হন৷ কিন্তু ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে চলতে থাকে এই মঞ্চ৷
বাংলাদেশে এরইমধ্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীরা শাস্তি পেয়েছে৷ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷ প্রশ্ন হলো – এরপরেও কেন গণজাগরণ মঞ্চ সক্রিয়? কেন তাদের সক্রিয় থাকা আজও প্রয়োজন? এমন প্রশ্নের জবাবে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা একটি ন্যায়নিষ্ঠ বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তার একটি অংশ৷ সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হয়ে গেলেই আমাদের কাজ শেষ হবে না৷ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাবো৷ সবার অধিকার আর সাম্যের জন্য আমরা কাজ করছি, করবো৷’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের পছন্দ করুক আর না করুক, সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়৷ সাধারণত সরকারের বিপক্ষে গেলে তারা বিরোধীতা করে৷ আমরা এ সব দিক বিবেচনায় নেই না৷ আমরা আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবো৷ এই কাজ করতে গিয়ে কিন্তু আমরা প্রাণ দিয়েছি, হামলা ও হুমকির শিকার হয়েছি৷’’
ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘‘শুরু থেকেই আমরা রাজনৈতিক আন্দোলন করছি৷ তবে দল নিরপেক্ষ, নির্দলীয়ভাবে৷ কারণ আমাদের যা লক্ষ্য, তা রাজনৈতিকভাবেই পূরণ সম্ভব৷ তাই আমরা রাজনীতির বাইরে নই৷ আমাদের দাবিও রাজনৈতিক৷ তাছাড়া একমাত্র রাজনীতিই পারে আমাদের দাবি পূরণ করতে৷’’
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ড আপনি কিভাবে দেখছেন? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
বিজ্ঞাপন