1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ এপ্রিল ২০১৭

শুক্রবার ভোররাতে মার্কিন রণতরি থেকে সিরিয়ার এক বিমানঘাঁটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো৷

https://p.dw.com/p/2aqGO
সিরিয়া হামলা
ছবি: picture-alliance/AP Photo/US Navy/F. Williams

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি মত পরিবর্তন করতে প্রস্তুত৷ বিশেষ করে হামলায় শিশুদের ভয়াবহ পরিণিতির ছবি তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছিল৷ তারপর সামরিক পদক্ষেপ নিতে আর দেরি করেননি তিনি৷ তিনি জানিয়েছেন, সিরিয়ার যে সামরিক ঘাঁটি থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে সিরিয়া তার অঙ্গীকার পূরণ করেনি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকেও সাড়া দেয়নি৷ ফলে অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই হামলা চালানো হলো৷

শুক্রবার ভোরে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশে মার্কিন রণতরি থেকে সিরিয়ার হোমস এলাকায় শায়রাত বিমানঘাঁটির উপর ৫০টিরও বেশি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের সূত্র অনুযায়ী, এই হামলায় কমপক্ষে ৪ জন সিরীয় সামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে৷ বিমানঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও দাবি করেছেন এই সংগঠনের প্রধান রামি আবদেল রহমান৷ তবে এই হামলার ঝুঁকি নিয়েও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে৷

তবে সিরিয়ার প্রশ্নে ট্রাম্প বার বার পূর্বসূরি বারাক ওবামার নীতির সমালোচনা করে চলায় তাঁর নিজের অবস্থান নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে৷ কারণ, অতীতে ট্রাম্প নিজে প্রেসিডেন্ট ওবামার উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ না করার ডাক দিয়ে এসেছেন৷

রাসায়নিক হামলা সম্পর্কে সন্দেহ না থাকলেও সেই হামলা কে চালিয়েছিল, তা নিয়ে সংশয়এখনো দূর হয়নি৷ জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার মতে, সরকারবিরোধী বাহিনী এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে৷

বলা বাহুল্য, এমন আচমকা সামরিক হামলার পর দেশে-বিদেশে নানা প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে একাই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি জগতে বিতর্কের আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ সিরিয়ায় সক্রিয় রুশ সৈন্যদের প্রাণহানি এড়াতে হামলার আগে রাশিয়াকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এই হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এই ঘটনা রুশ-মার্কিন সম্পর্কে আঘাত হানবে৷

অন্যদিকে সিরিয়া এই একক পদক্ষেপের নিন্দা করে বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য