সিরিয়ায় আটকদের ফেরত নিতে ট্রাম্পের চাপ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯সিরিয়ায় আটক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর ইউরোপীয় সদস্যদের যার যার দেশে ফেরত নিতে চাপ বাড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷
এখন পর্যন্ত কয়েক শত বিদেশি আইএস যোদ্ধাকে সিরিয়ায় আটক করেছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ান কুর্দিশ যোদ্ধারা৷ তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত নেয়ার জন্য শনিবার আহ্বান জানিয়েছেন ডোলান্ড ট্রাম্প৷
এক টুইটে তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ায় প্রায় ৮০০ আইএস যোদ্ধাকে আটক করে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে এবং তাদের ফেরত নিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অন্য ইউরোপীয় মিত্রদের আহ্বান জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ খিলাফতের পতন ঘটেছে৷ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমরা যদি তাদের মুক্তি দিয়ে দেই, তা খুব একটা ভালো কিছু হবে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র চায় না তারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ুক, কিন্তু সেটাই হওয়ার ভয় রয়েছে৷ আমরা অনেক কিছু করেছি, অনেক অর্থ ব্যয় করেছি৷ এখন অন্যদের এগিয়ে আসার সময়, যা করার সামর্থ্যও তাদের রয়েছে৷ আমরা খিলাফতের বিরুদ্ধে শতভাগ বিজয়ের পর ফেরত আসছি৷''
বেশ কিছু দেশ থেকে আইএস-এর পক্ষে লড়াই করতে আসা ৮০০ যোদ্ধা, ৬০০ নারী ও ১,২০০ শিশুকে আটক করেছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটির ফোর্সেস৷
তবে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসে যোগ দেয়া নিজদেশের নাগরিকদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ইউরোপের সরকারগুলো৷ আইএস-এর চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হামলার ঘটনার পর জঙ্গিদের দেশে ফেরত আনলে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করছে দেশগুলোর সরকার৷
কিন্তু সিরিয়া থেকে মার্কিনসেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ ইউরোপীয় আইএস যোদ্ধারা দেশে ফিরে ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছে দেশগুলো৷
কুর্দি যোদ্ধাদের এক মুখপাত্র এ মাসের শুরুতে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন, অর্ধশতাধিক জার্মান আইএস যোদ্ধা, নারী ও শিশু তাদের কাছে বন্দি রয়েছে৷
জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নিরাপত্তার অভাব ও দামাস্কাসের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না৷
ফ্রান্স অবশ্য সম্প্রতি সিরিয়ায় আটক ফরাসি আইএস যোদ্ধাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার আভাস দিয়েছে৷
চেস উইন্টার/এডিকে