জার্মান যোদ্ধাদের ফেরানোর আহ্বান
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯আটক ব্যক্তিদের জার্মানিতে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জার্মানি তার দায়িত্ব ‘এড়িয়ে চলছে' বলে দাবি কুর্দি কর্তৃপক্ষের৷
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হঠাৎ সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তুরস্কের সামরিক হামলার আশঙ্কা করছেন কুর্দিরা৷ এই পরিস্থিতিতে কুর্দিদের হাতে আটক বিদেশি যোদ্ধা এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷
সিরিয়ার কুর্দিদের সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস' বা এসডিএফ এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সমর্থন নিয়ে আইএস এর বিরুদ্ধে লড়ে এসেছে৷ এখন মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন৷
এসডিএফ জানিয়েছে, তাদের কাছে এক ডজন দেশের প্রায় ৮০০ যোদ্ধা, ৬০০ নারী ও ১,২০০-র বেশি শিশু আটক রয়েছে৷ ‘‘এদের মধ্যে অনেক জার্মান আইএস যোদ্ধা, নারী ও শিশু রয়েছে,'' বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে সিরীয় কুর্দিদের ডি-ফেক্টো পররাষ্ট্র অফিস৷
প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো অভিযান চলায় বিদেশি যোদ্ধাদের আটক হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে৷
এদিকে, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় আইএস-এর হয়ে লড়া যোদ্ধাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ উদাসীনতা দেখাচ্ছে৷ কারণ, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জিহাদি-মতাদর্শে বিশ্বাসী বেশ কিছু হামলা হয়েছে৷
তবে ফ্রান্স ইতিমধ্যে কুর্দিদের হাতে আটক ফরাসি নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কুর্দিরা ফরাসি যোদ্ধাদের ফ্রান্সের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের (যোদ্ধাদের) সরাসরি বিচারের মুখোমুখি করা হবে৷
এদিকে, জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, জার্মান নাগরিকরা যেন সিরিয়া ত্যাগ করতে পারেন, সে ব্যাপারে সম্ভাব্য উপায় কী হতে পারে, তা ভেবে দেখা হচ্ছে৷
কুর্দি বাহিনীর হাতে ঠিক কতজন জার্মান আটক আছেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জার্মানির কাছে নেই৷ তবে সংখ্যাটি দুই অঙ্কের হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আইএস-এর হয়ে লড়তে ২০১৩ সাল থেকে প্রায় এক হাজার ব্যক্তি জার্মানি থেকে সিরিয়া ও ইরাকে গেছেন৷ তাদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জার্মানিতে ফিরে এসেছেন৷ তাদের কয়েকজনের বিচার হয়েছে, বাকিদের বিভিন্ন পুনর্বাসন কর্মসূচিতে পাঠানো হয়েছে৷
চেজ ভিন্টার/জেডএইচ