সিরিয়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিল গণতন্ত্রপন্থীরা
৫ আগস্ট ২০১১সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে চার প্রতিবাদকারীকে হত্যা করেছে শুক্রবার৷ জুম্মাবারে দামেস্কের কাছে সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সেনারা, এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে৷ সিরিয়ান লিগ ফর দ্যা ডিফেন্স অফ হিউম্যান রাইটস এর প্রধান আব্দেল করিম এই বিষয়ে বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা ইরবিন শহরের বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়৷ এতে চারজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে৷
আন্দোলনের সুতিকাগার
হামা শহরের বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরেও শহরে গুলি এবং গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা গেছে৷ প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারী নিশানাবাজরা বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে বেসামরিক মানুষকে গুলি করছে৷ এছাড়া ট্যাংকও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন অবশ্য হামা শহরের কিছু ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে৷ সেখানে এক ব্যক্তির দাবি, সেনারা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করেছে৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও দাবি করে আসছেন, বিদেশি শক্তির সহায়তায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সিরিয়ার পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলছে৷
আন্তর্জাতিক সমাজ
সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করেছি বাশার সরকার নিজ দেশের নাগরিকদের উপর দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে এবং বাড়িয়েছে৷ আমরা মনে করি, বিভিন্ন বয়সি ২০০০-র বেশি মানুষকে হত্যার জন্য সিরিয়া সরকার দায়ী৷ এছাড়া, বাশার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগে আরো দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ক্লিন্টন৷ এদিকে, সিরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র তুরস্কও সেদেশের সমালোচনা করেছে৷ তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাটোলিয়া জানিয়েছে, বেসামরিক প্রতিবাদকারীদের দমনে সিরিয়া সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ‘অগ্রহণযোগ্য' এবং ‘আইনবহির্ভূত' বলে মনে করছে তুরস্ক৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোলু জানিয়েছেন, ভারী অস্ত্র এবং ট্যাংক নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ হামা শহরে সরকারি সেনাদের অভিযান কোনভাবেই আইনসম্মত নয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন