‘সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই’
১৫ জানুয়ারি ২০১২সেনা পাঠাবে না আরব লিগ
সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে আরব সেনা পাঠানো যেতে পারে, এমনটা মনে করেন কাতারের আমির শেখ মোহাম্মদ বিন খলিফা আল থানি৷ মার্কিন একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি৷ তাঁর এই বক্তব্যে সায় দিয়েছেন আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা৷ তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক প্রস্তাব৷ তবে, আরব লিগের এক প্রতিনিধি রবিবার জানিয়েছেন, সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে আরব লিগ কোন আনুষ্ঠানিক অনুরোধ কিংবা প্রস্তাব পায়নি৷ এই মুহূর্তে সেদেশে সেনা পাঠানোর কোন ইঙ্গিতও নেই, জানিয়েছে আরব লিগ৷ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম হেগও বলেছেন, সিরিয়ায় সহিংসতা দমনে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কোন আশু পরিকল্পনা পশ্চিমা দেশগুলোর নেই৷ লিবিয়ার মত সেদেশের অংশ বিশেষে উড়াল নিষেধাজ্ঞা জারির দিকেও নজর দিচ্ছে না পশ্চিমারা, জানিয়েছেন হেগ৷
জাতিসংঘের অবস্থান
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী-মুন রবিবার জানিয়েছেন, আমি আজকে আবারো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বলছি, সহিংসতা বন্ধ করুন, নিজের দেশের মানুষকে হত্যা বন্ধ করুন৷ দমনপীড়নের পরিনতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়৷ এদিকে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলা জুঁপে সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিরবতার সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, নিধনযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের নিরবতাও অব্যাহত আছে৷ পরিস্থিতি ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠছে৷ বলাবাহুল্য, সিরিয়ায় গত মার্চ মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার৷ জাতিসংঘের হিসেবে, বাশার সরকার গণতন্ত্রকামী ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে আটকে রেখেছে৷
সাধারণ ক্ষমা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সেদেশে গত দশমাসের আন্দোলনের সময় সংগঠিত সকল অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন৷ সেদেশের সেনাবাহিনী ত্যাগীরা আবার সেনা বাহিনীতে ফিরে আসলে এই ক্ষমার আওতায় পড়বেন৷ একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীকেও সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে, জানিয়েছে সেদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাসদসংস্থা সানা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম