সীমান্ত হত্যা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল দাবি করেছেন, বিএসফ শুধুমাত্র জীবন বাঁচানোর জন্যই গুলি ছোড়ে৷
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচদিনের সীমান্ত বৈঠক আজ শনিবার ঢাকায় শেষ হয়েছে৷ এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়৷ কারণ দেড় বছর আগে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তারপরও গত বছর সীমান্ত হত্যা বেড়েছে৷ ২০১০ সালে সীমান্তে বিএসএফ'এর হাতে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হন৷ আর ২০১১ সালে ৩৯ জন৷ আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ জন বাংলাদেশি৷ দেড় বছর আগে বিএসএফ'এর হাতে বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যা দুই দেশেই ব্যাপক সমালোচানার ঝড় তোলে৷ এছাড়া রয়েছে আরো অনেক নির্যাতনের অভিযোগ৷ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ'এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল এসব অপরাধের কোনো শাস্তির পরিসংখ্যান দিতে পারেন নি৷ শুধু কিশোরী ফেলানীর ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলার কথা জানান৷ তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
বনশাল স্বীকার করেন সীমান্তে গুলি না ছুড়তে দুই দেশেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্মত আছে৷ তবে তিনি দাবি করেন বিএসএফ জীবন রক্ষায় গুলি ছোড়ে৷ আর যাদের গুলি করা হয় তারা অপরাধী৷
বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আবারো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তিনি বলেন এই হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ এতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
পাঁচদিনের বৈঠকে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ভারত কোনো বিচ্ছন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশকে আশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ জবাবে বাংলাদেশ বলেছে এই দেশের মাটিতে কখনোই সন্ত্রাসী-অপরাধীরা আশ্রয় পাবেনা৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত সমঝোতা স্মারক আকারে সই হয়েছে৷ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন এরপর ভারতের নতুনদিল্লিতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক