সৌদি নারীদের পথ আজও অমসৃণ
১০ মার্চ ২০১৮আগামী জুন মাস থেকে গাড়ি চালাবেন সৌদি নারীরা৷ এছাড়া এখন থেকে পুরুষ সঙ্গীর অনুমতি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তাঁরা৷ কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে মোট জনশক্তির এক তৃতীয়াংশ নারী করতে চায় দেশটি৷
এ সব ছাড়াও সম্প্রতি প্রথম নারী রেস্তোরাঁ মালিক, প্রথম নারী পশু চিকিৎসক, প্রথম নারী ট্যুর গাইড পেয়েছে সৌদি আরব৷
কিন্তু তারপরও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না সৌদি নারীরা৷ কারণ অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, ‘গার্ডিয়ানশিপ' ব্যবস্থা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি নারীদের জীবনে পরিপূর্ণ পরিবর্তন আসবে না৷ এই ব্যবস্থার কারণে পড়ালেখা, ভ্রমণসহ সরকারি সেবা পেতে নারীদের একজন পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়৷ সাধারণত এক্ষেত্রে নারীদের তাঁদের বাবা, স্বামী কিংবা ছেলের অনুমতি নিতে হয়৷
এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে কোমায় থাকায় তিনি তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে পারেননি৷ এমনকি অভিভাবক না থাকায় অনেক নারী কয়েদি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কারাগার থেকে ছাড়া পাননি৷
এসব কারণে এক সৌদি অ্যাক্টিভিস্ট এএফপিকে বলেন, ‘‘আমি যদি গাড়ি চালানোর অনুমতি আর গার্ডিয়ানশিপ বিলুপ্ত করার মধ্যে একটি পছন্দ করতে পারি তাহলে আমি পরেরটিই বেছে নেব৷''
সৌদি আরবের সামাজিক ব্যবস্থাও এখনও নারীদের অগ্রগতি মেনে নিতে পারছেনা৷ তার একটি প্রমাণ দিয়েছে এএফপি৷ তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারভাত বুখারি নামের ৪৩ বছরের এক সৌদি নারী যখন গত অক্টোবরে একটি গ্যাস স্টেশনে চাকরি পেয়েছিলেন তখন সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে অপমান আর বিদ্রূপ সহ্য করতে হয়েছিল৷ বুখারিকে অপমান করতে একটি হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছিল৷ হ্যাশট্যাগটি ছিল এরকম ‘সৌদি নারীরা গ্যাস স্টেশনে কাজ করে না'৷ এমনকি বুখারির সবচেয়ে ছোট ছেলে ছাড়া অন্য সন্তানেরাও গ্যাস স্টেশনে তাঁদের মায়ের কাজ করা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে বুখারি জানিয়েছিলেন তিনি গ্যাস স্টেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজ করবেন, গ্যাসের পাইপ নিয়ে কাজ করবেন না৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে৷