আদালত ও সংসদ
৩০ আগস্ট ২০১২হাইকোর্টের এক বিচারপতি সম্পর্কে জাতীয় সংসদের স্পিকারের দেয়া রুলিং আইনগত ভিত্তিহীন, এক্তিয়ার বহির্ভূত ও অকার্যকর ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট৷ রায়ে বলা হয়েছে, স্পিকার তাঁর রুলিংয়ে বলেছেন, একজন বিচারক সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন এবং এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে প্রধান বিচারপতি ভেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ স্পিকারের দেয়া অভিমতের কোন আইনগত কার্যকারিতা নেই এবং আইনের দৃষ্টিতে তা অস্তিত্বহীন৷
সোমবার দেয়া ওই রায়ে আদালত বলেছেন, স্পিকারের রুলিংয়ে এমন কিছু দেখা যায় না যে, উক্ত বিচারক সংসদের কোন কার্যধারা চ্যালেঞ্জ করে তার আদালতে বা কোন আদালতে কোন প্রশ্ন তুলেছেন৷ এমনকি সংসদের কার্যধারা চ্যালেঞ্জ করে কোন মামলা দায়ের বা বিচারাধীন থাকার বিষয়টিও স্পিকার তার রুলিংয়ে বলেননি৷ সুতরাং সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদের কোন লঙ্ঘন হয়নি৷
সংসদে দেয়া স্পিকারের রুলিংয়ের পর আদালত ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তার নিরসন হয়েছে বলেই মনে করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা৷ কিন্তু উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর সেই বিতর্ক আরো উসকে গেল বলেই মনে করছেন সংসদ সদস্য ও আইন বিশেষজ্ঞরা৷
আওয়ামী লীগ নেতা ও দফতর বিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদ সার্বভৌম আর বিচার বিভাগ স্বাধীন৷ সংসদের রুল গ্রহণযোগ্য ছিল আর তা নিয়ে বিতর্ক তোলা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি৷
আইন বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমান খান বলেছেন, সংসদের যে প্রিভিলেজ কমিটি রয়েছে তাদের এটি নিয়ে বসা উচিত৷ এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হওয়া উচিত৷ কারণ উচ্চ আদালতের এই রায় দলিল হিসেবে থাকবে৷
আর দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির বলেছেন, সংসদ সদস্যরা ও একজন বিচারপতি যে ভাষা ব্যবহার করে একে অন্যকে আক্রমণ করেছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন