সংসদের কাজ নিয়ে ‘বিতর্ক’
২৭ আগস্ট ২০১২স্পিকারের এক বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ৫ই জুন৷ ফলে সংসদ আর বিচার বিভাগের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়৷ আর এর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ রুলিং দেন ১৮ই জুন৷ স্পিকারের এই রুলিংকে চ্যালেঞ্জ করে ১৮ই জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী একেএম শফিউদ্দিন৷
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ তাদের পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্পিকারের রুলিংকে অবৈধ এবং বেআইনি বলে ঘোষণা করেন৷ রায়ে বলা হয়েছে, বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার যে রুলিং দিয়েছেন, তার কোন কার্যকারিতা নেই৷ যা সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়৷
আদালত তার রায়ে বলেছেন, সংবিধানে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি বিভাগের ক্ষমতা এবং কার্যপরিধি নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে৷ সংসদের কাজ আইন প্রণয়ন করা, বিচার করা নয়৷
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম৷ তিনি বলেন, হাইকোর্ট এই রায়ে সংসদ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থার যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য একটি গাইড লাইন দিয়েছেন৷ সবাই যেন তার সীমার মধ্যে থেকে কাজ করেন৷
আদালতের একটি রায়ের সমালোচনা করে স্পিকার আব্দুল হামিদ বলেছিলেন, ‘‘আদালতের রায়ে জনগণ ক্ষুব্ধ হলে তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে পারে৷'' আর স্পিকারের এই বক্তব্যকে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছিলেন ‘রাষ্ট্রদোহিতা এবং আদালত অবমাননার শামিল'৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন