হংকংয়ের তরুণদের মন পড়তে ব্যর্থ চীন
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল জুন মাসে৷ হংকংয়ের কোনো বাসিন্দা চীনে অপরাধ করলে বিচারের জন্য তাকে চীনে পাঠানো যাবে, এমন এক বিলের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ সম্প্রতি এই বিল প্রত্যাহারে ঘোষণা দেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম৷
কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি৷ হংকংয়ের জন্য আরও গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন চলছে৷
১৯৯৭ সালে ব্রিটেন চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করেছিল৷ কথা ছিল, ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতিতে হংকং পরিচালিত হবে৷ অর্থাৎ চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে হংকংয়ের বাসিন্দাদের বেশি স্বাধীনতা ভোগ করার কথা৷ কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, সেটা হচ্ছে না৷
এই অবস্থার পরিবর্তন চান বিক্ষোভকারীরা৷ তাই প্রতি সপ্তাহান্তে বিক্ষোভ চলছে৷ যদিও দিন দিন বিক্ষোভকারীর সংখ্যা কমছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, এর কারণ একটি হতে পারে যে, বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে নিয়ম করে শহরের ট্রাম চলাচল ব্যবস্থা ব্যাহত করা হচ্ছে৷ তবে অনেকদিন ধরে বিক্ষোভ চলায় অনেক আন্দোলনকারীর উৎসাহে ভাটাও পড়ে থাকতে পারে৷
এদিকে, বিশ্ববাসীকে চীন দেখাতে চাইছে যে, বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এই লক্ষ্যে সম্প্রতি তারা হংকংয়ের একজন বিলিওনেয়ার নারীকে জাতিসংঘে পাঠিয়েছিলেন৷ সেখানে গিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জানান যে, বিক্ষোভের কারণে তিনি নিজেকে ‘অবরুদ্ধ' মনে করছেন৷
চীনের এই পদক্ষেপ এটিই প্রমাণ করছে যে, তারা হংকংয়ের তরুণদের মন পড়তে ব্যর্থ হচ্ছেন৷ কারণ তরুণরা মনে করছেন বিলিওনেয়ার ঐ নারী সাধারণ হংকংবাসীর প্রতিনিধিত্ব করেন না৷ চীনের এই পদক্ষেপ তরুণ বিক্ষোভকারীদের উলটো আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে৷
তবে সামনে পয়লা অক্টোবর আসছে৷ সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ তম বার্ষিকী পালিত হবে৷ তার আগে সবকিছু শান্ত দেখাতে চীন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও বেশি কঠোর হয়ে উঠতে পারে৷ এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা কতটুকু টিকে থাকতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়৷