হরতাল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
৪ নভেম্বর ২০১৩বিরোধী দলের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করেছেন অনেক পাঠক৷ প্রশ্ন ছিল, ‘‘আপনি কি এই হরতাল সমর্থন করেন? ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে জানান আপনার মতামত৷'' আল-আমিন লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল জনসভায় বলেছিলেন যে, পরীক্ষার কথা চিন্তা করে হরতাল প্রত্যাহার করতে৷ এখানে আমার কথা হলো যে, বিরোধী দলের দাবি হলো শেখ হাসিনাকে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মানবে না; সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যদি চান যে দেশে কোন হরতাল হবে না, পরীক্ষার্থীরা সময় মতোই পরীক্ষা দিবে, তবে তিনি বিরোধী দলের এই একটা দাবি মানলেই তো আর হরতাল হয় না দেশে৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতার অনুসারী আল-আমিন আরো লিখেছেন, ‘‘তাই আমি মনে করি, বর্তমান হরতালের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়ী; কেননা বিরোধী দল অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যে, প্রধানমন্ত্রী না সরলে তারা হরতাল দিতে বাধ্য হবে৷ তাই এই হরতালের দায় সরকারের৷''
মাহবুব এলাহি নামক ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক লিখেছেন, ‘‘কোনোভাবেই এই হরতাল সমর্থনযোগ্য নয়৷ সংলাপের দরজা যখন খোলা তখন ঠিক কি কারণে এই হরতাল আমার জানা নেই৷ সংলাপে না বসে অযৌক্তিক এই হরতাল মানতে পারছিনা৷ এছাড়াও হরতালের আগের দিনই বোমাবাজি, গাড়ি পোড়ানো, এমনকি হরতালের দিন খুন, হত্যা, বোমাবাজি, নিরীহ পথচারী/শিশুদের উপর ককটেল নিক্ষেপ, গাড়িতে আগুন দেয়ার নামে যাত্রীদের অগ্নিদগ্ধ হত্যা এইসব ভাবতেই নিজেদেরকে মানুষ হিসেবে খুব নিচুস্তরের মনে হয়৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় করা প্রশ্নের জবাবে অনেক পাঠক শুধু হ্যাঁ এবং না এর মধ্যে উত্তর সীমিত রেখেছেন৷ তবে সামগ্রিকভাবে ‘‘না'' উত্তরই বেশি৷
এদিকে, প্রথম আলো ব্লগে হরতাল বিষয়ক একটি ছড়া লিখেছেন মোকতার হোসেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সফল করসে হরতাল আবার/জীবন দিয় জনগন/ক্যামনে বুঝাই কোন মহল/দেয়নাই এবার প্রলোভন৷'' একই বিষয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে মাহবুব সোহেল লিখেছেন, ‘‘...কোনো রাজনীতিবীদ কি দয়া করে নিজের গড়িতে আগুন দিয়ে হরতাল উদ্বোধন করে একবার রাজনৈতিক উদারতা দেখাবেন৷ যদি কেউ দেখাতে পারতেন তবে তিনিই হতে পারতেন আগামীর প্রধানমন্ত্রী৷ মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত কয়েকজনকে পথে বসিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক বিজয় অর্জনের বীরত্ব রাজনীতিবিদগনের শোভা পায়?''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ