হলোকস্ট + সেল্ফি = ইওলোকস্ট
৩১ জানুয়ারি ২০১৭শাপিরার জন্ম ১৯৮৮ সালে, ইসরায়েলে৷ ২০০২ সালে, ১৪ বছর বয়সে, তিনি তাঁর মা আর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে জার্মানিতে আসেন৷ ২০১৪ সালের নববর্ষের রাত্রে বার্লিনে ইহুদি-বিদ্বেষিদের হাতে নিপীড়িত হন শাপিরা – যা তাঁকে সুপরিচিত করে তোলে৷ ২০১৬ সালের মে মাসে তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় ও ২০১৭ সালের গোড়ায় ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার বেস্টসেলার তালিকায় ওঠে৷
শাপিরা দেখেছিলেন যে, বার্লিনের হলোকস্ট স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার সময় বিশেষ করে তরুণ ও কিশোর দর্শকরা – তরুণী বা কিশোরীরাও অবশ্যই কিছু কম যান না – এমন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে নিজেদের সেল্ফি তোলেন – ও পরে যে ধরনের শীর্ষক দিয়ে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন – তা এই স্মৃতিসৌধের বাস্তবতা বা তার ইতিহাসের সঙ্গে আদৌ খাপ খায় না৷
শাহাক শাপিরার ভাষায়, ‘‘যে স্থানটি ৬০ লক্ষ ইহুদির হত্যার প্রতীক, সেখানে যোগব্যায়াম করাটা কি ‘কুল'?'' ফেসবুকে পোস্ট করা এ ধরনের একটি সেল্ফির ক্যাপশন ছিল: ‘মৃত ইহুদিদের ওপর ঝাঁপাচ্ছি৷' যেমন কথা, তেমনি কাজ: নাৎসি বন্দিশিবিরের সাবেক ছবি নিয়ে ফটোশপ করে সত্যিই ‘মৃত ইহুদিদের ওপর লাফানোর' ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শাপিরা৷ এভাবে একটি-দু'টি নয়, ১২টি ছবি৷ কাজেই ‘ইওলোকস্ট' যে বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়ে পড়বে, তা তো জানাই৷
সংশ্লিষ্টরা যদি চান, তাদের ছবি সরানো হোক, তাহলে তাদের ‘আনডুস.মি@ইওলোকস্ট.ডিই' এই ঠিকানায় একটি ই-মেল পাঠাতে হবে৷ বারোজনের সকলেই তা করেছেন৷ সকলেই অনুতপ্ত৷ একজন লিখেছেন, ‘‘আমি দেখেছি আমার কথাগুলো কী আঘাত দিয়েছে...''; আরেকজন লিখেছেন, ‘‘আমি সত্যিই দুঃখিত''৷
কাজেই এক সপ্তাহ পরে ছবিগুলো সরিয়ে নিয়েছেন শাহাক শাপিরা ও তাঁর প্রকল্প সমাপ্ত বলে ঘোষণা করেছেন৷ সেই সঙ্গে হুমকি দিয়েছেন: ‘দু'সপ্তাহ পরে যদি ফেসবুকে গিয়ে আবার দেখি, মানুষজন হলোকস্ট মেমোরিয়ালে এই সব ইতরামো করছেন....তবে কিন্তু...৷''
এসি/ডিজি
বন্ধু, কেমন লাগলো আপনার ভিডিওটি? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷