‘‘একটি রায় কার্যকর চাই’’
৩০ আগস্ট ২০১৩যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷ বর্তমান সরকারের মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ৷ এই সময়ের মধ্যে তাই অন্তত একটি রায় কার্যকর দেখতে চান ব্লগার জান্নাতুল ফেরদৌস৷
আমার ব্লগ ডটকমে ফেরদৌস লিখেছেন, ‘‘অন্তত একটা রাজাকারের ফাঁসি এই সরকারের এই মেয়াদের মধ্যে কার্যকর দেখতে চাই৷ আওয়ামী লীগের উপর এখনও বিশ্বাস আছে, তারা যাতে নিজেরা এই বিশ্বাস নষ্ট করে না দেয়৷ শত শত নির্বাচনী প্রচারণা, সভা-সমাবেশের চেয়ে বেশি কার্যকর হবে একটা রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর করা৷''
বলাবাহুল্য, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি অনেকের৷ এই দাবিকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লগারদের আহ্বানে শাহবাগে সমবেত হন অসংখ্য মানুষ৷ সৃষ্টি হয় গণজাগরণ মঞ্চ৷ ব্লগার সাকী শওকত সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন লিলু ভাই নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে৷ একাত্তরে লিলু ভাইয়ের উপর হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি৷ শওকত লিখেছেন, ‘‘লিলু ভাইয়ের দু'চোখ উপড়ে ফেলে ছিল গণকবরের সাক্ষ্য দিবে বলে৷ লিলু ভাই নিজ হাতে লাশ টেনে গণকবর দিয়েছেন৷ পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকার মিলে তাকে এই কাজে বাধ্য করেছিল৷''
নিবন্ধের শেষের অংশ এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘সেই লিলু ভাইয়ের অন্ধত্বের পিছনের মানুষগুলি, রাজাকার, আলবদরের এই খুনিগুলো, ওদের ফাঁসি চাই, আবারো ফাঁসি চাই৷''
আরো অনেকের মতো রায় কার্যকর হওয়ার আশায় অপেক্ষায় আছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী আলমগীর হোসেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘শোক, আতঙ্ক আর ঘৃণার আগস্টে একটা ছোট্ট সুসংবাদও অনেক বড় মনে হচ্ছে! মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত রাজাকারদের ফাঁসির উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১২ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ জল্লাদকে৷....মানে, রাজাকারদের ফাঁসি কার্যকর হবে প্রায় নিশ্চিত!''
উল্লেখ্য, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, সরকার বিরোধী দলকে দুর্বল করতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ