1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণ

২৭ এপ্রিল ২০১৮

জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের জন্য সাধারণত যুবকল্যাণ কর্মকর্তাদের মতের উপর নির্ভর করা হয়ে থাকে৷ এক জার্মান আদালত শীঘ্রই কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক মেডিকেল টেস্টের নির্দেশ দিতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/2wleN
Symbolfoto Medizin: Röntgenbild Handgelenk
ছবি: picture-alliance/N. Lange

বৃহস্পতিবার জার্মানির ফেডারাল প্রশাসনিক আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, তরুণ উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের জন্য নিয়মিতভাবে মেডিকেল টেস্ট ব্যবহার করা হবে কিনা৷ এক আফগান উদ্বাস্তু শুধু চোখের দেখায় তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷

ফেডারাল আইন অনুযায়ী, জার্মানিতে আগত অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের দেখাশোনা করে স্থানীয় যুবকল্যাণ অধিকার৷ যুবকল্যাণ কার্যালয়গুলি সংশ্লিষ্ট উদ্বাস্তুর বয়স নির্ধারণ ও নিশ্চিত করার জন্য দু'জন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করে, যারা চোখে দেখে উদ্বাস্তুদের বয়স আন্দাজ করার চেষ্টা করেন৷ বয়স নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে যুবকল্যাণ কার্যালয় মেডিকেল টেস্ট করার নির্দেশ দিতে পারে৷

মামলায় যে প্রশ্নটি তোলা হয়েছে, সেটি হলো: তথাকথিত ‘‘চাক্ষুষ পরীক্ষা''একমাত্র সেই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা, যাদের দেখে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, তারা প্রাপ্ত- কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, যুবকল্যাণ দপ্তরের কর্মী আর উদ্বাস্তুরা যদি বয়স সম্পর্কে একমত হতে পারেন, একমাত্র সেক্ষেত্রেই মেডিকেল টেস্ট ব্যবহার করা হবে না৷ অন্য সব ক্ষেত্রে ফেডারাল সরকারের অনুমোদিত একটি মেডিকেল টেস্ট করা হবে৷

ফ্রাইবুর্গে এক ১৯ বছর বয়সের মেডিকেল ছাত্রী ও কান্ডেল গ্রামে এক ১৫ বছর বয়সের কিশোরীর হত্যাকাণ্ডের পর জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের সঠিক বয়স একটি বিপুল বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ উভয় ক্ষেত্রেই হত্যাকারী উদ্বাস্তুকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচনা করা হয় – যার কিছু কিছু আইনগত ও অন্যান্য সুবিধা আছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের সাধারণ উদ্বাস্তু আবাসে না রেখে, যুব নিবাসে রাখা হয়; তারা শিক্ষা ও মানসিক চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ পায়; তাদের পরিবারবর্গের জার্মানিতে আসা সহজ হয় এবং তাদের বহিষ্কার করা হয় না৷

মেডিকেল টেস্টের সমস্যা

মেডিকেল টেস্টও কিন্তু গাছের গুঁড়িতে কাঠের উপর বৃত্তাকার দাগগুলিকে গুনে গাছের বয়স নির্ধরাণ করার মতো সহজ-সরল নয়৷ অপরদিকে এ-ও সত্য যে, সংশ্লিষ্ট সুযোগসুবিধার আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যে বহু তরুণ উদ্বাস্তু নিজেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে পাচার করার চেষ্টা করছেন৷ বলতে কি, উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের ব্যাপারে এ যাবৎ খুবই গা ঢালা দিয়ে চলা হয়েছে, বলে একাধিক সরকারি কর্মকর্তার অভিমত৷

গত জানুয়ারি মাসে জার্মানির দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট রাজনৈতিক দল এএফডি সংসদে প্রস্তাব আনে যে, উদ্বাস্তুরা বয়স ভাঁড়ালে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া উচিত৷ এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স সম্পর্কে সরকারি নথিপত্র পেশ না করতে পারলে, বাধ্যতামূলক মেডিকেল টেস্টের দাবি জানায় এএফডি৷

Infografik unbegleitete minderjährige Flüchtlinge englisch

বয়স নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে চেহারা, শারীরিক বিকাশ, দাড়ি-গোঁফ ইত্যাদি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় – তবে যৌনাঙ্গ পরিদর্শন করা হয় না৷ এছাড়া দাঁত, হাড়গোড়, হাতের কবজি ও শ্রোণির এক্স-রে করে বয়স নির্ধারণ করা যেতে পারে৷ তা সত্ত্বেও মেডিকেল টেস্টে বয়স নির্ধারণে দু' থেকে তিন বছরের ভুল হতে পারে৷ অপরদিকে চিকিৎসার প্রয়োজনে ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে এক্স-রে করা নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন উঠতে পারে৷ সবচেয়ে বড় কথা, বয়স নির্ধারণ নিয়ে ক্রমেই আরো বেশি প্রযুক্তি সৃষ্টি হচ্ছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হ্যান্ড স্ক্যানার ও জিন টেস্টের উদ্ভাবন করা হয়েছে, কিন্তু সে দু'টি সর্বাধুনিক পরীক্ষাও নাকি কোনো ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর বা তার কম কিনা, তা নির্ভুলভাবে প্রমাণ করতে অক্ষম৷

নিকোলাস মার্টিন/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান