জার্মানিতে শরণার্থীদের অবস্থা
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদে বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের পর একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয়৷ শরণার্থীদের সুযোগ দেয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৩৭৬টি৷ আর বিপক্ষ ভোটের সংখ্যা ছিল ২৯৮৷
উল্লেখ্য, সাবসিডিয়ারি স্ট্যাটাসের শরণার্থীরা রাজনৈতিক বা যুদ্ধ শরণার্থী বলে বিবেচিত হন না৷ নিরাপত্তা ইস্যু বিবেচনা করে তাঁদের সাময়িকভাবে জার্মানিতে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷
২০১৬ সালের মার্চে প্রণীত এক আইনের মাধ্যমে সাবসিডিয়ারি শরণার্থীদের পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে নিয়ে আসার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছিল৷
এর মাধ্যমে জার্মানিতে শরণার্থী আসার সংখ্যায় কিছুটা রাশ টানার চেষ্টা করা হয়েছিল৷
তবে শরণার্থীদের আবারও সেই সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ ও সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে৷ কারণ, দল দু'টি আবারও জোট সরকার গঠন করার ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পর থেকে জার্মানিতে দশ লক্ষেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী এসেছে৷ তবে এত শরণার্থীকে জার্মানিতে প্রবেশ করতে দেয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছিল ম্যার্কেলের সরকার৷
শরণার্থী বিরোধী দল ‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ বা এএফডি ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির সমালোচনা করে সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল করেছে৷
এদিকে, জোট সরকার গঠনে আলোচনারত সিডিইউ ও এসপিডি দলের নেতারা প্রতিবছর দুই লক্ষ শরণার্থীকে জার্মানিতে আসতে দেয়ার সুযোগ দিতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন৷
সাবসিডিয়ারি শরণার্থীদের পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে নিয়ে আসার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল৷ এখন সিডিইউ ও এসপিডি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐকমত্য হওয়ায় জার্মানি একটি সরকার পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ সেটি সম্ভব হলে চতুর্থবারের মতো জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেবেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
শরণার্থীদের সহায়তা দেয় এমন সংগঠন ‘প্রো অ্যাসাইল’ নতুন এই আইনের সমালোচনা করে বলেছে, এই আইন ‘সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত’৷ একে তারা সিডিইউ'র ‘কট্টরপন্থি’ সহযোগী সংগঠন সিএসইউ'র জয় বলে উল্লেখ করেছে৷
তবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের বলছেন, ‘‘এটি মানবতা ও দায়িত্বের মাঝে... উদারতা ও বাস্তবতার মধ্যে একটি আপোস৷’’
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)