অভিবাসন নীতি নিয়ে ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে জার্মানি
১২ জুন ২০১৮রক্ষণশীলদের এই অভিবাসন নীতি ঠিক কোন ইস্যুতেআটকে গেল, তা পরিষ্কার নয়৷ তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিছু বিষয়ে এখনও কিছু বিষয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে৷
বাভারিয়ান অঞ্চলের খ্রিস্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন (সিএসইউ)-এর নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেহোফারের একটি ৬৩ পয়েন্টের অভিবাসন নীতি অন্য দলগুলোর সামনে উত্থাপনের কথা ছিল৷
জার্মানির ডেইলি বিল্ড পত্রিকা বলছে, যেসব শরণার্থীর আশ্রয়প্রার্থনা এরই মধ্যে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বা যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়েছে, তাদের জার্মানি সীমান্তে আটকে দেয়া হবে কিনা, এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে চ্যান্সেলর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে৷
এই মতবিরোধ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সরকারের জোটে থাকা তৃতীয় সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি৷ দলটি জানিয়েছে, এবার তারা নিজেদের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসবে৷ দলের উপনেতা রাল্ফ শ্টেগনার জানিয়েছেন, ‘‘শরণার্থী বিষয়ে যাঁরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেখতে চান, তাঁদের সেহোফার বা সিএসইউর ওপর নির্ভর করা উচিত হবে না৷ এ কারণেই এসপিডি সামনে এগিয়ে এসেছে৷''
সেহোফার বরাবরই ম্যার্কেলের অভিবাসননীতির কড়া সমালোচনা করে এসেছেন৷ ২০১৫ সাল থেকে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি৷ গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে রক্ষণশীলদের আসন হারানো এবং ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-র উত্থানের পেছনে ম্যার্কেলের এই উদারনীতিকেই দায়ী করা হয়৷
সেহোফার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সরকারকে রক্ষণশীল অভিবাসননীতির দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন৷ এএফডির কাছে হারানো স্থান পুনরুদ্ধারও তাঁর অন্যতম লক্ষ্য৷
এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ, কেএনএ)