অভিবাসন প্রক্রিয়ায় নতুনত্ব?
৭ এপ্রিল ২০১৬ইউরোপীয় কমিশন থেকে সম্প্রতি যে গোপন নথিপত্র ফাঁস হয়েছে তা থেকে অনুমান করা হচ্ছিল, অভিবাসনের জন্য সদস্য দেশগুলোকে একটি কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রস্তাব দিতে চলেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারেই নেয়া হবে৷
তবে ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড রিগার্ট ব্রাসেলস থেকে জানাচ্ছেন, বুধবার ইইউ-র যে সাপ্তাহিক বৈঠক হলো সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রানস টিমারমানস৷ তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ মেয়াদে অন্য কিছু বিকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে৷ বিকল্পগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত অভিবাসন আবেদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীভূত ইউরোপীয় প্রক্রিয়া অনুসরণের বিষয়টিও রয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে কথা বলাটা বাস্তবসম্মত নয়৷ এ কারণে আজকের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি রাখা হয়নি৷''
অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরো আলোচনা হবে৷ আলোচনা শেষে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া ইউরোপীয় কমিশন মন্ত্রণালয় এবং সংসদের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপাতত যে দু'টি বিকল্প বিবেচনায় রেখেছে সেগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, অভিবাসন প্রক্রিয়ার মৌলিক দিকগুলো একই থাকবে৷ ডাবলিন রেগুলেশনও কার্যকর থাকবে৷ শুধু জরুরি পরিস্থিতিতেই তার ব্যত্যয় হতে পারে৷ তাছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে দেশে প্রথম আসবে সে দেশকেই অভিবাসন প্রক্রিয়ার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে৷ বাস্তবে এমনটি হওয়া কঠিন, কেননা, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথমে গ্রিস না হয় ইটালিতে আসছেন৷ এই দু'টি দেশের পক্ষে এত অভিবাসনপ্রত্যাশীর দায়িত্ব নেয়া বাস্তবসম্মত নয় বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন৷
দ্বিতীয় বিকল্পে থাকছে ডাবলিন রেগুলেশন বাতিলের প্রস্তাব৷ টিমারমানস জানান, ‘‘কোন দেশ অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী হবে এ বিষয়ের শর্তাবলী আমরা বদলে নিতে পারি৷'' আর এই শর্ত পরিবর্তনের ভাবনা থেকেই বিবেচনায় আসছে অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রহণের সম্ভাবনা৷
অভিবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার মত কী?