1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অরুণাচলে সেনার উপর হামলা, মৃত এক

৫ অক্টোবর ২০২০

প্রায় এক বছর পর অরুণাচলে সেনার উপর আক্রমণ চালালো জঙ্গিরা। ভারত-সংঘাতের মধ্যেই এ ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

https://p.dw.com/p/3jR6U
ছবি: DW/S. Narang

মাঝে দীর্ঘ দিন শান্ত ছিল উত্তর পূর্ব ভারত। নতুন করে সেখানে শুরু হলো জঙ্গি তৎপরতা। রোববার অরুণাচলের চাংলাং অঞ্চলে সেনা বাহিনীর জলের ট্যাঙ্কারে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। আর এক জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার চাংলাং অঞ্চলে সেনা শিবির থেকে গ্রামে জল ভরতে যাচ্ছিল সেনা বাহিনীর ট্যাঙ্কারটি। সূত্র জানাচ্ছে, রাস্তায় জঙ্গলের ভিতর লুকিয়ে ছিল জনা ২০ জঙ্গি। ট্যাঙ্কারটি সেখানে পৌঁছতেই প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। সেনা জওয়ানরা কিছু করে ওঠার আগেই গা ঢাকা দেয় জঙ্গিরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ট্যাঙ্কারটির সামনে আরও একটি অসামরিক গাড়ি ছিল। সেটিতেও বেশ কিছু গুলি লাগে। তবে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আহত হননি।

অরুণাচলের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, পরেশ বড়ুয়ার আলফা স্বাধীন এবং নিকি সুমির খাপলাং শাখার জঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। শুক্রবারই অরুণাচলের তিরাপ, চাংলাং, লংডিং জেলাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তারপরেই জঙ্গিরা এই আঘাত হানল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর মে মাসে ওই অঞ্চলে একবার সেনার উপর আক্রমণ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। নাগাল্যান্ডেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

বেশ কিছু দিন আগে মায়ানমারে ঢুকে জঙ্গিদের আশ্রয় শিবির ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর অরুণাচল, নাগাল্যান্ডে আরও কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। বস্তুত, দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলছে ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। অনেকেই অস্ত্র সমর্পন করে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে উত্তর পূর্ব ভারত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের জেরে নতুন করে গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এনআরসিকে কেন্দ্র করে গত বছরের শেষ থেকে গোটা উত্তর পূর্ব ভারতই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। ফের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আলোচনার টেবিলে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারলে অশান্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একই সঙ্গে চীনও জঙ্গিদের উস্কানি দিচ্ছে বলে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অরুণাচলের সীমান্তে চীন সেনাও বাড়িয়েছে। অরুণাচলকে অশান্ত করে দিয়ে চীন তার সুযোগ নিতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)