1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডয়চে ব্যাংকে তল্লাশি

৩০ নভেম্বর ২০১৮

জার্মানির ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ডয়চে ব্যাংকের সদরদপ্তরে শুক্রবারও তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ জানা গেছে, অর্থপাচারে জড়িত সন্দেহে ব্যাংকের দু'জন কর্মীর কার্যক্রম তদন্তের অংশ হিসেবেই এই তল্লাশি৷

https://p.dw.com/p/39Dsg
ছবি: REUTERS

ফ্রাংকফুর্টে ডয়চে ব্যাংকের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার তল্লাশি শুরু হয়৷ প্রায় ১৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী ও কর পরিদর্শক এতে অংশ নেন৷ এই সময় তাঁরা কাগজ ও ইলেকট্রনিক বিভিন্ন নথি জব্দ করেন৷ ব্যাংক পরিচালকদের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গেছে৷

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের কাজে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানায়৷ তবে শুক্রবার তারা কোনো মন্তব্য করেনি৷ শুক্রবার অবশ্য ডয়চে ব্যাংকের সদর দপ্তরের বাইরে মাত্র একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে৷

ফ্রাংকফুর্টের প্রসিকিউটর কার্যালয় বলছে, ডয়চে ব্যাংকের দু'জন কর্মীর (নাম প্রকাশ করা হয়নি) বিরুদ্ধে মক্কেলদের অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে৷

২০১৬ সালে ‘পানামা পেপার্স’ কেলেংকারিতে ফাঁস হওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে এই তদন্ত চলছে৷ জার্মানির স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকা ২০১৬ সালে পানামা পেপার্সের খবর প্রথম ফাঁস করে৷ ফাঁস করা নথিপত্র থেকে দেখা যায় যে, পানামার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ‘মোসাক ফনসেকা’ তাদের মক্কেলদের জন্য প্রায় দুই লাখ অফশোর ‘শেল' কোম্পানি সৃষ্টি করেছিল৷

সদরদপ্তরে তল্লাশির খবরে ডয়চে ব্যাংকের শেয়ারমূল্যের পতন হয়েছে৷

এমনিতেই গত তিন বছর ধরে ক্ষতির মুখ দেখছে ডয়চে ব্যাংক৷ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানান কেলেংকারিতেও ব্যাংকের নাম জড়িয়েছে৷

পরিস্থিতির উন্নতি করতে গত এপ্রিলে একজন নতুন প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল৷ তিনি কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরও রাজস্ব আয় বাড়েনি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

২০১৬ সালের এপ্রিলের ছবিঘরটি দেখুন...