অর্থনৈতিক সংকট কাটার আভাস দেখছে ইইউ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গোটা ইউরোপজুড়ে অর্থনীতি ব্যাপক চাপে পড়ে৷ তবে ধীরে হলেও কঠিন সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আভাস মিলছে৷ সোমবার অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের সংশোধিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, কাগজে-কলমে মন্দার আশঙ্কা থেকে উত্তরণ সম্ভব হচ্ছে৷ প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম গত বছরের রেকর্ড অবস্থা থেকে কমতে থাকায় মূল্যস্ফীতির রেখাও সর্বোচ্চ চূড়া থেকে নামতে শুরু করেছে৷
তবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি চাপ থেকে রাতারাতি রেহাই মিলছে না, সেটিও জানিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার অন্তত পাঁচ শতাংশের নীচে নামার সম্ভাবনা তারা দেখছে না৷
ইইউ অর্থনৈতিক কমিশনার পাওলো জেন্টিলোনির মতে, রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতিতে গত বছর যে আশঙ্কা করা হয়েছিল প্রবৃদ্ধির দিক থেকে তা অতিক্রম সম্ভব হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে আমরা প্রত্যাশার চেয়েও দৃড় পা ফেলতে পেরেছি৷ মন্দার ঝুঁকি আর গ্যাস ঘাটতির শঙ্কা ম্লান হয়ে গেছে এবং বেকারত্বের হার রেকর্ড নিম্নপর্যায়ে রয়েছে৷’’
কমিশনের হিসাবে, চলতি বছরে একক মুদ্রা ইউরো ব্যবহারকারী ২০টি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক আট শতাংশ৷ আর ইইউ'র ২৭ দেশের জন্য এই পূর্বাভাস দশমিক নয় শতাংশ৷ এর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে যা দশমিক তিন শতাংশ বেশি৷ এদিকে ২০২৪ সালে ইইউ-তে প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ছয় ও ইউরো অঞ্চলে দেড় শতাংশ হবে বলে আশা করছে কমিশন৷ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলছে চলতি জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকেও৷ তাতে মন্দার আশঙ্কা আর থাকছে না৷
এদিকে কমিশনের হিসাবে ২০২৩ সালে ইউরো অঞ্চলে পাঁচ দশমিক ছয় আর ইইউ-তে ছয় দশমিক তিন শতাংশ মূল্যস্ফীতি হবে বলে জানিয়েছে তারা৷ গত অক্টোবরে যেখানে ইউরো অঞ্চলে এই হার ছিল ১০ দশমিক ছয় শতাংশ৷ জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে আট শতাংশ হয়েছে৷
এফএস/এসিবি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)