ব্যাডমিন্টন বিতর্ক
২ আগস্ট ২০১২লন্ডন অলিম্পিকে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতাকে ঘিরে একের পর এক অপ্রিয় ঘটনার ফলে অলিম্পিকে এই ক্রীড়ার ‘ফরম্যাট' বা কাঠামোর মৌলিক সংস্কারের দাবি উঠছে৷ চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মোট ৪টি টিমের সাত জন খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷
চীনের ইয়ু ইয়াং অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে ব্যাডমিন্টন থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা করেছেন৷ টেনসেন্ট মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটাই আমার শেষ প্রতিযোগিতা৷ বিদায় আমার প্রিয় বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন৷ আপনারা নির্মমভাবে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন৷''
ইন্দোনেশিয়ার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় গ্রেসিয়া পোলি ও মেইলিয়ানা জাউহারি'কে মেয়েদের ডাবলস টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রাথমিক একটি ম্যাচে তারা ইচ্ছে করে খারাপ খেলে হেরে যাবার চেষ্টা করেছে, যাতে নক-আউট পর্যায়ে গিয়ে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে না হয়৷ বাকিদের ক্ষেত্রেও অভিযোগ একই৷ পরবর্তী ম্যাচে প্রতিপক্ষ কে, তা আগে থেকে হিসাব-নিকাশ করে বিশেষ ম্যাচে খারাপ খেলে হেরে যাবার চেষ্টা করেছেন অ্যাথলিটরা৷
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, অ্যাথলিট'দের এমন হিসাব-নিকাশ করার সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? ‘ফরম্যাট' বা কাঠামোর মধ্যে এমন দুর্বলতা এল কীভাবে? অতীতে অন্য যে কোনো প্রতিযোগিতার মতো ব্যাডমিন্টনেও ‘নক-আউট'এর মাধ্যমে একমাত্র সফল খেলোয়াড়রাই অগ্রসর হতেন৷ ফলে কোন গ্রুপ থেকে কোন কোন খেলোয়াড় এগিয়ে যাবেন, আগেভাগেই তা জানার কোনো উপায় ছিল না৷ এরপর অলিম্পিকের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আচমকা এই পদ্ধতি বদলে ফেলা হয়৷ প্রথম পর্যায়ে ‘রাউন্ড রবিন স্টেজ' এবং তারপর ‘নক-আউট' পর্যায়ের নতুন নিয়ম চালু করা হয়৷
ইন্দোনেশিয়া অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ দেশের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী আন্ডি মালারাংগেং বলেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়া চিরকাল অলিম্পিকের মূলমন্ত্র ও মূল্যবোধকে মর্যাদা দিয়ে এসেছে৷ কিন্তু আমরা বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন'এর উদ্দেশ্যে এই ক্রীড়ার কাঠামো নতুন করে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি৷''
এসবি / ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)