লন্ডন অলিম্পিক
১ আগস্ট ২০১২মঙ্গলবারের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলায় অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এসব নারী ক্রীড়াবিদদের বিরুদ্ধে৷ ডাব্লিউবিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘খেলোয়াড় যুগলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, তারা খেলায় জেতার জন্য ‘নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাননি এবং এমন মানসিকতা ও আচরণ খেলার জন্য মানহানিকর ও ক্ষতিকর'৷
ডাব্লিউবিএফ-এর নজরে পড়া প্রমীলা খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন চীনের বিশ্ব সেরা খেলোয়াড় ওয়াং জিয়াওলি ও ইয়ু ইয়াং, ইন্দোনেশিয়ার গ্রেসিয়া পলি ও মেলিয়ানা জওহারি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জুং কিয়ুং-ইয়ুন ও কিম হা-না এবং হা জুং-ইয়ুন ও কিম মিন জুং৷ মঙ্গলবার এসব খেলোয়াড় যখন স্পষ্টত অবহেলার সাথে বল ছেড়ে দিয়ে কিংবা নেটে বল ছুঁইয়ে প্রতিপক্ষকে পয়েন্ট দিচ্ছিলেন তখন ওয়েম্বলে অ্যারে'র দর্শক আসন থেকে তাদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া নানা কটুক্তি শোনা গেছে৷
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘‘চীনা ক্রীড়া প্রতিনিধিরা নারীদের দ্বৈত ব্যাডমিন্টনের এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে৷ তারা এই ঘটনা জানার পরই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের এটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷''
এই ঘটনা সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান প্রশিক্ষক সাং হান কুক বলেছেন, তাঁর দেশের দুই যুগল ক্রীড়াবিদ চীনা এবং ইন্দোনেশীয়দের বিরুদ্ধে এটা করেছে মূলত প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য৷ কারণ চীনা যুগল প্রথমত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ সাং হান কুক-এর৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চীনার এটা শুরু করে৷ ড্র করা নিয়ে এ রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়৷ তারা আবার একই দলের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল-এ খেলতে চায়নি৷ ফলে আমরাও একই কাজ করেছি৷ আমরও আবারও নক-আউট পর্যায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দলের বিরুদ্ধে খেলতে চাইনি৷''
তবে ব্যাডমিন্টনে এমন কেলেঙ্কারি ঘটলেও সাঁতারে ইতিহাস গড়ে আলোচনার শীর্ষে এখন মাইকেল ফেল্পস৷ মঙ্গলবার ১৯তম সোনা জিতে তিনি সোভিয়েত ক্রীড়াকুশলী লারিসা ল্যাটিনিনা'র ১৮টি পদক জয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন৷ ল্যাটিনিনা ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ সাল সময়ের মধ্যে ১৮টি পদক জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন৷ এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন ফেল্পস৷ এর আগে ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকস-এ ছয়টি সোনা এবং দু'টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন ফেল্পস৷ আর ২৭ বছর বয়সি এই তারকা সাঁতারু বেইজিং আসরে জয় করেছিলেন আটটি স্বর্ণ পদক৷
এএইচ / ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)