1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রিয়ায় নির্বাচনে মুসলিমরা ‘টার্গেট’

১৩ অক্টোবর ২০১৭

রবিবার অস্ট্রিয়ায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ ভোটারদের মন পেতে প্রার্থীরা মুসলিমবিরোধী বক্তব্যকে পুঁজি করছেন৷ শুধু চরম ডানপন্থি দলই নয়, মূলধারার একটি দলও এতে অংশ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2llOK
Österreich Muslime in Wien
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Fohringer

অস্ট্রিয়ার বর্তমান জোট সরকারের একটি দল ‘অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি' বা ওভিপি৷ অন্যটি ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ অস্ট্রিয়া' বা এসপিও৷ এই দুই দলের মধ্যে ওভিপি দলের প্রধান ৩১ বছর বয়সি সেবাস্টিয়ান কুরৎস বলেছেন, তিনি দেশের সীমান্ত আরো সুরক্ষিত করতে চান, রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে লড়তে চান আর অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত করতে চান৷

কুরৎসের এই চাওয়াগুলো অনেকটা চরম ডানপন্থি দল ‘ফ্রিডম পার্টি অফ অস্ট্রিয়া' বা এফপিও-র চাওয়ার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে৷ তাই এফপিও মনে করছে, কুরৎস তাদের ইস্যুগুলো চুরি করেছে৷ কারণ, এফপিও দল চায় ইসলামাইজেশন বা ইসলামিকরণ বন্ধ করতে

সবশেষ জরিপ বলছে, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ওভিপি দলের প্রধান কুরৎস এগিয়ে আছেন৷ তিনি অনেক চরম ডানপন্থি সমর্থকদের দলে টানতে সমর্থ হয়েছেন৷

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন কুরৎস৷ তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৭৷

অতীতে অস্ট্রিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় কর, অর্থনীতি, শিক্ষা এসব বিষয় প্রাধান্য পেলেও এবারের নির্বাচনে সেগুলো পেছনের সারির বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে৷ এবার প্রাধান্য পাচ্ছে অভিবাসন, শরণার্থী, ইসলামাইজেশন বিষয়গুলো৷

নির্বাচনি প্রচারণায় ওভিপি এবং এফপিও দলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রাজধানী ভিয়েনায় বসবাসরত ইরানি সমাজকর্মী মোহাম্মদ আমিনি৷ তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতিবিদরা বছর তিনেক ধরে আসা শরণার্থীদের সঙ্গে ইসলামিকরণের সংযোগ করছেন৷ কিন্তু সেটি ঠিক নয়৷ কারণ, ইসলামিকরণের সঙ্গে সেই সব মানুষ যুক্ত, যারা বহু বছর ধরে অস্ট্রিয়ায় আছেন এবং চাকরি, সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন৷ ‘‘পপুলিস্টদের সবসময় একটা ইস্যু দরকার৷ এখন সেটা ইসলাম,'' বলেন তিনি৷

এমির নুমানোভিচ/জেডএইচ