1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামবিরোধী ভিডিও

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ইউটিউব থেকে ইসলামবিরোধী একটি ভিডিও মুছে ফেলতে গুগলকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন আদালত৷ ইতোপূর্বে পাকিস্তানসহ আরব বিশ্বে ভিডিওটির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/1BH1m
ছবি: picture-alliance/dpa

‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস' শিরোনামের ছবিটি মুছে ফেলতে এর আগে গুগলকে অনুরোধ করেছিল অনেক দেশ৷ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও একই ধরনের অনুরোধ করেন৷ কিন্তু গুগল সে অনুরোধ রক্ষা করেনি৷ ফলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷

বৃহস্পতিবার অবশ্য ভিন্ন কারণে ভিডিওটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ ছবিটিতে অভিনয় করা এক নারী অভিনেত্রী আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁর অজান্তেই ভিন্ন একটি ছবির ক্লিপ এই ছবিতে যোগ করা হয়েছে এবং তাঁর কণ্ঠও সম্পাদনা করা হয়েছে৷ এর প্রতিবাদে ইউটিউব থেকে ছবিটি সরিয়ে নিতে আদালতের শরণাপন্ন হন সেই অভিনেত্রী৷ সান ফ্রান্সিসকোর আদালত এই অভিযোগ আমলে নিয়ে গুগলকে ভিডিওটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন৷

গুগল অবশ্য আদালতে যুক্তি দেখায়, ভিডিওটি সরিয়ে নিলে তা হবে প্রতিষ্ঠানটির বাক-স্বাধীনতার অধিকার নীতির লঙ্ঘন৷ আদালত এই যুক্তি গ্রহণ করেনি৷ মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গুগল ইতোমধ্যে ভিডিওটি মুছে ফেলেছে৷ তবে প্রতিষ্ঠানটি এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানিয়েছে৷

Das Logo von YouTube
ইউটিউব থেকে ইসলামবিরোধী একটি ভিডিও মুছে ফেলতে গুগলকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন আদালত

প্রসঙ্গত, ইউটিউব থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নিতে প্রথমে নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অভিনেত্রী সিন্ডা লি গার্সিয়া৷ কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি৷ এক বিবৃতিতে গার্সিয়া জানিয়েছেন, ‘‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের (মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা বিষয়ক আইন) ‘ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট' সমর্থন করি এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এমন কোনো প্রচারণা থেকে নিজেকে দূরে রাখাটা আমার অধিকার মনে করি৷''

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইসলাম এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদকে ব্যঙ্গ করে নির্মিত স্বল্প বাজেটের ছবি ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস'-এর অংশবিশেষ ইউটিউবে প্রকাশের পর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ সেসময় বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে৷ প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে বেশ কয়েকজন নিহত হন৷

এআই/ডিজি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য