অস্ট্রেলিয়ায় এক উইগুর পরিবারের মিলন হলো
১১ ডিসেম্বর ২০২০সিডনি বিমানবন্দরে পুরো পরিবারের সঙ্গে তোলা ছবি টুইটারে পোস্ট করেন সাদাম৷ সেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিজ পেইন ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ ‘‘সবাই খুব কষ্ট করেছেন আমাদের এক করার জন্য,'' লেখেন তিনি৷
২০১৭ সালে জিনজিয়াং প্রদেশে চীনা কর্তৃপক্ষ সাদামের স্ত্রী নাদিলা উমায়ের ও তার পুত্র লুফতির পাসপোর্ট জব্দ করে৷ বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়৷ সরব হয়ে ওঠে মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ এর কারণ সাদাম অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক৷ তিনি দশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে এসেছিলেন এবং পরে নাগরিকত্ব পান৷
২০১৬ সালে জিনজিয়াংয়ে ফেরত গিয়ে উমায়েরকে বিয়ে করেন সাদাম৷ জিনজিয়াংয়ে তাদের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়৷ কিন্তু তাদের অস্ট্রেলিয়ায় আনতে পারছিলেন না সাদাম৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে আবেদন করলে ২০১৯ সালে উফতিকেও নাগরিকত্ব দেয় অস্ট্রেলিয়া৷
পরিবারকে আনতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতা চান সাদাম৷ গত ফেব্রুয়ারিতে এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত চীনের ডেপুটি হেড অফ মিশন দাবি করেন, উমায়ের জিনজিয়াং ছাড়তে চাইছেন না৷
এরপর উমায়ের টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন৷ সেখানে লেখা ছিল, ‘আমি যেতে চাই এবং আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই৷'
জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ট্রেলিয়ায় চীনের অ্যাম্বেসিকে অনুরোধ জানান যেন উমায়েরকে চীন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে দেয়া হয়৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই পরিবারের আইনজীবী মাইকেল ব্র্যাডলি নিশ্চিত করেন, তিন বছর বয়সি লুফতি ও তার মা দুই সপ্তাহ আগে চীন ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসে এবং দুই সপ্তাহ কোয়ারান্টিনে থাকার পর সিডনির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়৷
চীনের বিরুদ্ধে উইগুর মুসলিমদের ওপর পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপুল অভিযোগ রয়েছে৷ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিশ্বের সব মানবাধিকার সংস্থা উইগুর মুসলিমদের প্রতি চীনের আচরণের বরাবরই সমালোচনা করে আসছে৷
জেডএ/জেডএইচ (ডিপিএ)