অ্যামেরিকায় চালু হতে পারে করোনা-পিল
১ ডিসেম্বর ২০২১অ্যামেরিকায় স্বাস্থ্য-কর্তারা এই পিল চালু করার অনুমতি দিতে পারেন। মার্কিন স্বাস্থ্য পরামর্শদাতাদের একটি প্যানেল গত বৃহস্পতিবার এই পিল চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন। পিল চালুর পক্ষে ছিলেন ১৩ জন ও বিপক্ষে ১০ জন। যদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই সুপারিশ মেনে নেয়, তাহলে অ্যামেরিকায় করোনা রুখতে পিলের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই এই পিল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
অ্যামেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) এই বছরের মধ্যেই পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এফডিএ যা বলছে
এই পিল নেয়ার কিছু ঝুঁকি আছে। গর্ভবতীরা এই পিল নিলে শিশুর কিছু জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। তবে এফডিএ-র প্যানেল মনে করছে, এই পিল চালু করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির থেকে সুবিধা বেশি। প্যানেল তার সুপারিশ দেয়ার আগে বহু ঘণ্টা ধরে তর্কবিতর্ক করেছে, বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেছেন। তারপর তারা এই ওষুধ চালুর প্রস্তাব করেছেন। তবে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই পিল ব্যবহার করার আগে সতর্কতা নিতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেয়া প্রয়োজন। তাদের প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করাটা জরুরি।
প্যানেলের সুপারিশ হলো, যাদের মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের করোনা হয়েছে এবং যারা শ্বাসকষ্ট, মোটা হয়ে যাওয়ার মতো রোগে ভুগছেন, সেই প্রাপ্তবয়স্করা এই ওষুধ নিতে পারবেন।
ওষুধ কীভাবে কাজ করে
এই ওষুধ ভাইরাসের জেনেটিক কোডে গিয়ে কাজ করে। এর থেকেই একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এই ওষুধ নিলে ভাইরাস তার রূপবদল করবে এবং আরো মারাত্মক প্রজাতির ভাইরাস আসবে।
প্রস্তুতকারকদের দাবি, ওমিক্রন ভাইরাসের উপরেও এই ওষুধ সমানভাবে কার্যকর হবে। ফাইজারও একটি ওষুধ বের করেছে। তাদের দাবি, এই ওষুধের ক্ষতিকর দিক কম। এই ওষুধ নিলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮৯ শতাংশ কমে যাবে।
অ্যামেরিকা ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্কের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছে। তারা ৭০০ ডলার দিয়ে করোনা পিলের প্রতিটি কোর্স কিনবে। মোট ৫০ লাখ কোর্স কেনা হবে। অ্যামেরিকা ফাইজার ভ্যাকসিন কেনে ২০ ডলার দিয়ে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)