আইএস-এর বিরুদ্ধে ওবামার ‘দীর্ঘ মেয়াদী' উদ্যোগ, তুরস্ক নীরব
১৫ অক্টোবর ২০১৪মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কোবানিতে ২১ বার বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট৷ সে হামলায় শহরটির পুরোপুরিভাবে ইসলামিক স্টেটস বা আইএস-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া আপাতত রোখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে৷ তারপরও ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বারাক ওবামা৷
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা সুন্নিদের জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে ইরাক ও সিরিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটনের অদূরের এক সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠক করেন৷ বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের মোট ২০টি দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ বৈঠক শেষে ওবামা জানান, আইএস বিরোধী জোট ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং'-এর এ বৈঠকে অংশ নেয়া সবাই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, ‘‘(আইএস-এর বিরুদ্ধে) এ যুদ্ধটি হবে দীর্ঘমেয়াদী৷'' বৈঠকে ২০টি দেশের ৬০জন সামরিক কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন৷ আইএস বিরোধী যুদ্ধে সাফল্য পেতে এই প্রথম জোটভুক্ত দেশগুলোর এত বেশি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় করলেন বারাক ওবামা৷
এদিকে একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, গত দু'দিনে ২১ বার বোমা হামলা চালিয়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কোবানিতে আইএস-এর অগ্রযাত্রা আপাতত রুখতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট৷ তা সত্ত্বেও জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস-এর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওবামা৷ তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ার কোবানি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷''
কোবানির পরিস্থিতি আসলেই জটিল৷ একদিকে আইএস-এর বিরুদ্ধে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলা৷ অন্যদিকে মাত্র কয়েক’শ গজ দূরের সীমান্ত থেকে নীরব দর্শকের মতো যুদ্ধ দেখছে তুরস্কের সেনাবাহিনী৷ নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রকে আইএস-এর ওপর হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি তুরস্ক৷ উপরন্তু মঙ্গলবার আঙ্কারায় এক তুর্কি সামরিক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ তুরস্কে কুর্দি বিদ্রোহীদের একটি ঘাঁটিতে বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে৷ তুর্কি বিমানবাহিনীর এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷
কুর্দি বিদ্রোহীরা বলে আসছে, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা তুরস্কের সেনাবাহিনীর সহায়তা চায় না, তবে তারা চায়, কোবানিকে রক্ষা করতে যেসব অস্ত্র প্রয়োজন সেগুলো কুর্দি যোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তুর্কি সরকার তাদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দিক৷ কুর্দিদের সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক৷
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)