হারের পর আক্ষেপ
২ জুন ২০১৭ভারতের সঙ্গে মাত্র দু'দিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের৷ মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হওয়ায় দলের ব্যাটিং নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সম্ভবত আশঙ্কা ছিল৷ ক্রিকেটবোদ্ধারা বলছেন, এমন আশঙ্কা থেকেই আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে বৃহস্পতিবার ওভালে ইংলিশদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা৷
তবে আট ব্যাটসম্যান নিয়ে তিনশ' পেরোনো গেলেও জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি৷ দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারো সেঞ্চুরি করলেন তিনি, তবে ২০১০ সালের মতো এবারো হেরেছে তার দল৷ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯ রান রান এসেছে মুশফিক রহিমের ব্যাট থেকে ৷ এই দুই খেলোয়াড় ছাড়া বাকিরা কার্যত আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন৷ ফলে শেষ কয়েক ওভারে দলের ভাণ্ডারে আশানুরুপ রান যোগ হয়নি৷
৩০৫ রান করার পরও খেলা শেষে তাই আক্ষেপ ছিল আরো ২৫-৩০ রান হলে ম্যাচটা হয়ত হাতছাড়া হতো না৷ অন্যদিকে, আট ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামায় ইংলিশদের বিরুদ্ধে দশ ওভার বল করাতে হয়েছে অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে৷ মাঝে মাঝে মুস্তাফিজ-রুবেলদের ওভারগুলোতে কম রান ওঠায় যে সুবিধা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই ইংলিশরা পুষিয়ে নিয়েছেন সেসব ওভারে৷ আর ফিল্ডিংয়ে যে সময় এক- দুই রান ঠেকানো দরকার ছিল, তখন অনেকটা রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে চার, ছয় ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে৷ সেটাও সম্ভবত ঠিক ছিল না, অন্তত ধারাভাষ্যকাররা সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন৷ দিন শেষে অনেকটা হেসেখেলেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ইংলিশরা৷
এদিকে, তিনশ'র বেশি স্কোর করার পরও ম্যাচ হারায় স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কিছুটা হতাশা৷ এমন ম্যাচ হারার কারণ খুঁজতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা প্রশ্ন করেছেন দলের খেলোয়াড়দের৷ মুশফিকুর রহিম দলের খেলার সমালোচনা তেমন আমলে না নিলেও স্বীকার করেছেন, মিরাজ থাকলে হয়ত কিছুটা সুবিধা হতো৷ আর তামিম ইকবাল তো সরাসরিই দূষেছেন বোলারদের৷ ক্রিকইনফো-কে বলেছেন, ‘‘পরিকল্পনামতো বোলিং করতে না পারলে চারশ’ রানও যথেষ্ট নয়৷’’
প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী ম্যাচে কি বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভালো করতে পারবে?