আগামী সপ্তাহে ক্যাম্প প্রস্তুত হবে: মিয়ানমার
১৫ জানুয়ারি ২০১৮মিয়ানমারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ঐ আলোচনায় বাংলাদেশের ১৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে৷ মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও ত্রাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেন, কতজন রোহিঙ্গাকে ফিরতে দেয়া হবে এবং কীভাবে তাদের পরিচয় পরীক্ষা করা হবে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷
বাংলাদেশের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে আলোচনার ব্যাপারটি নিশ্চিত করলেও বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি৷
এদিকে, মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত মিয়ানমার৷ এ লক্ষ্যে মংদুতে ১২৪ একর এলাকার উপর একটি ‘অস্থায়ী ক্যাম্প' নির্মাণের কাজ শেষের পথে রয়েছে৷ সেখানে ৬২৫টি ভবনে প্রায় ত্রিশ হাজার জনের বসবাসের ব্যবস্থা হবে বলেও ঐ প্রতিবেদনে জানানো হয়৷ স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ঐ ক্যাম্পে থাকবেন৷
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ এরপর ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গার নামের একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেয়া হয়৷ তবে মিয়ানমার এখনও ঐ তালিকা পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি৷
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন তাঁদের ফিরে যাওয়ার কথা৷ জাতিসংঘের হিসেবে সংখ্যাটি সাড়ে ছয় লক্ষের উপরে৷ তবে মিয়ানমার আসলেই কতজন রোহিঙ্গাকে ফেরতে নেবে, তা নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে৷
এদিকে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে তাঁরা আসলেই ফিরতে চান কিনা, তা জিজ্ঞাসা করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ কারণ, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকের মনে শঙ্কা যে, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারও হয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হবে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বাংলাদেশের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গার সঙ্গে তাদের প্রতিবেদকরা কথা বলেছেন৷ এদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী নন৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)