আজ রোজেনমোনটাগ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫কার্নেভালে যে যার ইচ্ছেমত সেজে পথে নামে৷ রাস্তায়, রাস্তায় দেখা যায় প্যারেড, বিভিন্ন ব্যান্ড বাজনা বাজাতে বাজাতে চলে যায়৷ আজ প্রায় এক লক্ষ মানুষ এসেছে এই প্যারেড দেখতে, অংশগ্রহণ করতে৷
কার্নেভালের এই বিশেষ দিনটি রোজেনমোনটাগ নাম পরিচিত৷ ধারণা করা হয়, শীতকালকে বিদায় জানাতেই আয়োজন করা হয় এই উৎসবের৷ সারা জার্মনিতে টেলিভিশনের পর্দায় আজ প্রচার করা হচ্ছে এই উৎসব৷ বেশ কিছু অঞ্চলে সরাসরি দেখানো হচ্ছে প্যারেড, সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস৷ উৎসবে মেতে আছে কোলন শহরও৷ ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশো টন চকোলেট ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্যারেড থেকে৷ অর্থাৎ যে বা যারা প্যারেড দেখতে আসবে, তারা ব্যাগ ভর্তি চকোলেট নিয়ে যেতে পারবে৷ তাই একদিকে যেমন দু'হাতে ছড়ানো হচ্ছে চকোলেট, অন্যদিকে তেমনই দুই হাতে কুড়ানোও হচ্ছে তা৷
স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারা আনন্দে একেবারে পাগল হয়ে গেছে আজ৷ তারা সেজেছে নানাভাবে৷
একটি শিশু জানাল, ‘‘আমি সেজেছি রেড ইন্ডিয়ান৷'' আরেকজন বলল, ‘‘ম্যাজিশিয়ান, থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, জলপরি''৷
বাচ্চাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাবা-মায়েরাও৷ একজন মা সেজেছেন কুমড়োর মতো৷ আরেকজন মৌমাছি৷ তবে আচার আচরণে তিনি মৌমাছির মত হুল ফুটিয়ে বেড়ান কিনা – তা জানা যায়নি৷
কার্নেভাল কোন ধর্মীয় উৎসব নয়৷ গত একশো বছর ধরে এই উৎসবটি পালন করা হচ্ছে৷ তবে কার্নেভাল যে গোটা জার্মানিতে পালন করা হয় – তা কিন্তু নয়৷ শুধু রাইন নদীর ধার ঘেঁষেই এই উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়৷ কোলন, বন ছাড়াও ড্যুসেলডর্ফ এবং মাইনৎস শহরেও কার্নেভালের পরশ লাগে৷ প্রতি বছর আসে এই কার্নেভাল৷ হাজার হাজার মানুষ মেতে ওঠে উৎসবে৷ যেমন খুশি তেমন সাজো, চকোলেট খাও আর ফুর্তি করো৷ কারণ আজ যে সবার ছুটি৷