1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদানি-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল সংসদ

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে বৈঠকে ছিল না তৃণমূলের সাংসদেরা।

https://p.dw.com/p/4N3IZ
নরেন্দ্র মোদী-গৌতম আদানি
ছবি: Siddharaj Solanki/Hindustan Times/IMAGO

আদানি-কাণ্ড নিয়ে সংসদে উত্তাল বিরোধীপক্ষ। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারেও বিরোধীরা এবিষয়ে বৈঠক করেছেন এবং পরবর্তী আন্দোলনের কৌশল স্থির করা হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে বৈঠকে যোগ দেননি তৃণমূলের কোনো সাংসদ। বস্তুত, বৃহস্পতিবারও সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে কংগ্রেস সভাপতির ঘরে বৈঠকে বসেছিলেন শিবসেনা, এনসিপি-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা। সেই বৈঠকে অবশ্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। শুক্রবার কেন তারা বৈঠকে যোগ দিলেন না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গেও আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসা আছে। সেই কারণেই তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে ততটা সরব নয় বলে বামেদের অভিযোগ।

বিরোধীদের দাবি, আদানি-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়তে হবে। বিরোধীদের দাবি, আদানি প্রভাবশালী ব্যক্তি। কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিনি। ফলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পক্ষপাতিত্বমূলক হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।

সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপরেই শেয়ার বাজারে পতন শুরু হয়। তারই জেরে উত্তাল হয়ে আছে সংসদ। শুক্রবারও সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করা হয়।

বিরোধীদের বক্তব্য, এটি কেবল একটি শিল্পগোষ্ঠীর সম্পদের মূল্য কমে যাওয়া নয়। এর ফলে দেশের মানুষ আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।

আদানির সংস্থার মাধ্যমে স্টেট ব্যাংক এবং এলআইসিতে বিনিয়োগ হয়েছে। এই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থায় দেশের সাধারণ মানুষের বিপুল পরিমাণ উপার্জন সঞ্চিত আছে। আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই দুই সংস্থাই সমস্যায় পড়তে পারে। সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। বস্তুত, শুক্রবার আদানি এন্টারপ্রাইজের ২০হাজার কোটি টাকার শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে শেয়ার বাজারে আরো পতন হয়েছে। বেড়েছে আশঙ্কাও। বিরোধীদের দাবি, এই কারণেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ একাধিক প্রথম সারির মন্ত্রী গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠ। ফলে তার বিরুদ্ধে কখনোই নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। বস্তুত, সরকারও এখনো এবিষয়ে কার্যত মুখ খোলেনি। এর আগে বফর্স, হর্ষদ মেহতা মামলায়, টু জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি মামলায় সংসদে যৌথ কমিটি তদন্ত করেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোনো তদন্ত যৌথ কমিটির হাতে দেওয়া হয়নি। এবারও সরকার তাতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)