1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদিবাসীদের ভাষা

২২ মে ২০১২

বাংলাদেশে আদিবাসী জাতির সংখ্যা কমপক্ষে ৭৫৷ তাঁরা প্রায় ৪০টি ভাষায় কথা বলেন৷ কিন্তু এর বেশিরভাগই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে৷ আদিবাসীদের এই ভাষাগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু কীভাবে?

https://p.dw.com/p/14zgl
ছবি: AP

আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করে ‘রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট কালেকটিভ' নামের একটি সংস্থা৷ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মেসবাহ কামাল৷ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক৷ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, বাংলাদেশে আদিবাসী জাতির সংখ্যা ঠিক কত, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো জরিপ হয়নি৷ তাই তাঁদের ভাষার সংখ্যা কত সেটাও নির্দিষ্ট করে বলা যায় না৷ কামাল মনে করেন এ নিয়ে অচিরেই গবেষণার কাজ শুরু করা উচিত৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আদিবাসী জাতির সংখ্যা কমপক্ষে ৭৫ হলেও তারা এখন প্রায় ৩৯টি ভাষায় কথা বলছেন৷ আর বাগানে যেসব আদিবাসী কাজ করেন তারা সব ভাষা মিলিয়ে একটা নতুন ভাষায় কথা বলেন, যেটাকে ‘বাগানিয়া' বলা হচ্ছে৷ এসব তথ্যই আদিবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে৷ তবে এ নিয়ে কোনো বিস্তারিত গবেষণা হয়নি৷''

এমনটা কেন হচ্ছে? মেসবাহ কামাল বললেন, এর জন্য প্রধানত দায়ী সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত, স্বীকৃতির অভাব৷ বাংলাদেশে যে বাংলা ছাড়াও আরও অনেক ভাষা রয়েছে তার খবর সাধারণ মানুষ জানে না৷ বাংলাদেশ যে বহু জাতি ও বহু ভাষার মানুষ রয়েছে সেটা সংবিধানে প্রতিফলিত হয়নি৷''

এভাবে আদিবাসীদের ভাষা হারিয়ে যাওয়া একটা ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা' বলে মনে করেন কামাল৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, আদিবাসীদের ভাষা টিকিয়ে রাখতে তাদের ভাষায় প্রকাশিত গল্প, ছড়া ইত্যাদি প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে৷ এছাড়া আদিবাসী শিশুরা যেন তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আদিবাসী শিশুরা যদি নিজেদের ভাষায় জ্ঞানলাভ করতে পারে তাহলে তারা আনন্দ পাবে৷ একটা শিশু যদি পাঠ্যবইতে তার সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখে তাহলে তাকে নিজেকে মেলাতে সুবিধা হবে৷''

মেসবাহ কামাল বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে সবার জন্য ‘মাতৃভাষায়' শিক্ষা দেয়ার বিধান থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু নীতিটা যখন মুদ্রিত হয়ে এলো তখন দেখা গেল ‘য়' বাদ পড়ে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমটা যেখানে মাতৃভাষায় হওয়ার কথা ছিল সেখানে সেটা বদলে গেল৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য