নাইন-কোর্স মেনু
১৯ মার্চ ২০১২নেদারল্যান্ডস'এর আমস্টারডাম শহর বহু জাতি-ভাষা-সংস্কৃতির মিলনস্থল বলে পরিচিত৷ এবার সেই তালিকায় যোগ হলো উত্তর কোরিয়া৷ ইউরোপের একমাত্র উত্তর কোরীয় রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে শহরের উপকণ্ঠে৷ রেস্তোরাঁর নাম ‘পিয়ং ইয়ং'৷ শুধু খাবার নয়, উত্তর কোরিয়ার পরিবেশও তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে৷ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ খাদ্যের তালিকা বেশ দীর্ঘ৷ রয়েছে নাইন-কোর্স মেনু – অর্থাৎ ৯টি বিভিন্ন পদ একে একে পরিবেশন করা হয়৷
বিদেশের মাটিতে যখনই উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত কোনো কার্যকলাপ দেখা যায়, তখনই সন্দেহ হয়, এর পেছনে নিশ্চয় সেদেশের স্টালিনপন্থী সরকারের হাত রয়েছে৷ কারণ সাধারণ মানুষ তো আইনি পথে দেশ ছেড়ে কোথাও যাবার সুযোগ পান না৷ এশিয়ার অনেক দেশে ‘পিয়ং ইয়ং' নামের রোস্তোরাঁ রয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার সরকারই সেগুলি চালায় বলে সন্দেহ করা হয়৷ খাদ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের মতো গোপন কার্যকলাপও নাকি চলে রেস্তোরাঁর আড়ালে৷ সংবাদ মাধ্যমে একাধিক এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷
আমস্টারডামের উত্তর কোরীয় রেস্তোরাঁর পেছনে কোনো সরকারি মদত নেই বলে দাবি করছেন ওলন্দাজ মালিক রেমকো ফান ডাল৷ বলেছেন, তাঁর এই উদ্যোগে রাজনীতির কোনো গন্ধই নেই৷ ২০০৯ সালে তিনি উত্তর কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস'এর মানুষের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি করতে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন৷ রেমকো বলেন, শুধু অজানা এই দেশ ও দেশের মানুষের জীবনযাত্রাই তুলে ধরা হচ্ছে এই রেস্তোরাঁয়৷ অর্থ লগ্নি করেছেন রেমকো'র সহযোগী এক হোটেল মালিক৷ ‘পিয়ং ইয়ং' রেস্তোরাঁর উত্তর কোরীয় কর্মীরাও সেই হোটেলেই থাকেন৷ এই ৪ জন পরিচারিকা, ৩ জন রাঁধুনি ও এক জন দোভাষীকে উত্তর কোরিয়ার সরকারই বাছাই করেছে৷ তারা বেইজিং'এর ‘পিয়ং ইয়ং' রেস্তোরাঁয় প্রশিক্ষণ নিয়ে আমস্টারডাম'এ এসেছে৷ উদ্বোধনের দিন সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন বটে, কিন্তু মালিক রেমকো ফান ডাল'এর মতে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, নিছক কৌতূহলের বশেই তাঁর আগমন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ