আন্নার অনশন সভার ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার
১৮ আগস্ট ২০১১মধ্য দিল্লির রামলীলা ময়দানকে বিশাল সমাবেশের উপযুক্ত করে তুলতে সকাল থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে পুরসভা৷ কাজ শেষ হতে সম্ভবত বিকেল হয়ে যাবে৷ ময়দানের নিরাপত্তার দিকগুলি সামলাচ্ছে পুলিশ৷ মেটাল ডিটেক্টর, বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, প্রশিক্ষিত স্নিফার ডগ ইত্যাদি৷ সেক্ষেত্রে আন্না আজ রাতটাও কাটাবেন তিহার জেলে৷ আগামীকাল সকাল থেকে তিনি বসবেন অনিদ্দিষ্টকালের জন্য অনশনে৷ সরকারি ডাক্তারদের দিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় বেসরকারি ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বলেন, এমনি সব ঠিক আছে, তবে রক্তচাপ সামান্য বেড়েছে৷
অনশন মঞ্চ নিয়ে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আন্না সমর্থকদের দীর্ঘ আলোচনার শেষে রফা হয় যে, প্রথম দফায় আন্নাকে ১৫দিন অনশনের অনুমতি দেয়া হবে৷ পরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে একদিন একদিন করে বাড়ানো হতে পারে৷
এদিকে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাট থেকে অসম, আন্নার জনসমর্থন বেড়েই চলেছে৷ ছাত্র, ছাত্রী, তথ্য প্রযুক্তিবিদ, আইনজীবী সবার মুখেই এককথা৷ দুর্নীতি থেকে মুক্তি চাই, সেটাই হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা৷ সেই লক্ষে কড়া লোকপাল বিল পাশ করাতে আন্নার লড়াই-এ সামিল আমরা৷ এটা স্রেফ আবেগতাড়িত অভিব্যক্তি নয়৷ মনে হয়, দুর্নীতিতে ক্লান্ত সাধারণ মানুষের আর্তি৷
শোনা যাচ্ছে মনমোহন সিং সরকার আন্নার গণআন্দোলনের ঢেউ সামলাতে অনেকটা নরম হয়েছে৷ রফাসূত্র নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে৷ বলা হচ্ছে, আন্নার দলের তৈরি জন লোকপাল বিলের খসড়া প্রাইভেট সদস্যের আনা বিল হিসেবে সংসদে পেশ করে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে৷ আন্নার অন্যতম সহযোগী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আন্নার জন লোকপাল বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক৷ আমজনতা কী রকম লোকপাল বিল চায় তা মাথায় রেখে সংসদ আইন প্রণয়ন করবে৷ কারণ, জনগণই গণতন্ত্রের শেষকথা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়