1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শূকরের হার্ট নিয়ে বাঁচতে চান?

১১ জুন ২০১৬

হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন! আপনার যদি হৃদরোগ থাকে এবং হার্ট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পরে, তবে আপনাকে হয়ত এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে৷ কেননা শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে হৃদরোগীরা নতুন জীবন পাবেন বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/1J44U
শূকর
ছবি: Fotolia/nilsb

তারা বলছেন, একদিন হৃদরোগীরা শূকরের হার্ট নিয়ে দিব্যি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন৷ এ সংক্রান্ত একটি গবেষণায় অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷

মৃত্যুর আগে অঙ্গ দানে যাঁরা অঙ্গীকার করেন, তাঁদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জীব-জন্তুর হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও যকৃত প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন৷ সেই ৬০ এর দশক থেকে চলছে এই গবেষণা৷ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিজ্ঞানীরা শূকরের জীবন্ত হৃদপিণ্ড একটি বেবুনের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন৷ তাদের পদ্ধতিটি হলো দুই দেহের জিনের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা এবং যাঁর দেহে প্রতিস্থাপন করা হবে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ওষুধ দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া৷

মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল হার্ট, লাঙ অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের সার্জন এবং এই গবেষণার সহ-লেখক মুহাম্মদ মহিউদ্দীন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, মানুষের দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের দিক থেকে তারা মাত্র আর এক ধাপ দূরে৷ বলেন, অন্য কোনো প্রাণীর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা গেলে বহু মানুষের জীবন বাঁচবে৷

পাঁচটি বেবুনের দেহে এবার গবেষণা করা হয়েছিল এবং তাদের দেহে প্রতিস্থাপিত হৃদপিণ্ডটি ৯৪৫ দিন বেঁচে ছিল, যা একটি রেকর্ড৷ আসলে বেবুনগুলোর নিজেদের হৃদপিণ্ডের পাশাপাশি শূকরের হৃদপিণ্ডটি লাগানো ছিল পেটের মধ্যে৷ গবেষণার মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল, যে অঙ্গটা প্রতিস্থাপন হয়েছে, তা কতদিন কাজ করে সেটা দেখা৷ কেননা গ্রহণকারীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অঙ্গটি নষ্ট হয়ে যায়৷

চলতি মাসের নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

আপনি কি অন্য প্রাণীর ‘হার্ট’ নিয়ে বাঁচতে চাইবেন? লিখুন আমাদের, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান