পোলিওর বিরুদ্ধে যু্দ্ধ
৭ মার্চ ২০১৪তবে আফগানিস্তানের চেয়ে পাকিস্তানে পোলিওর আক্রমণটা যেন একটু বেশি৷ কারণ গত বছর পাকিস্তানে ৯৩ জন পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল৷ আগেরবার যে সংখ্যাটা ছিল ৫৮৷ অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷ অন্যদিকে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো৷ সেখানে সংখ্যাটা পড়তির দিকে৷ গতবছর সে দেশে মাত্র ১৪ জন পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল৷ ২০১১ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৮০ জন৷
দুই দেশের ক্ষেত্রে এই ব্যবধানের কারণ পোলিও সম্পর্কে দুই দেশের তালেবানের দু'ধরণের উপলব্ধি৷ পাকিস্তানি তালেবান মনে করে পোলিও নির্মূল কর্মসূচি মার্কিনিদের গোয়েন্দা কর্মসূচির একটি অংশ৷ এ ধরণের একটি কর্মসূচির ঘটনা সাজিয়ে মার্কিনিরা ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান বের করায় পাকিস্তানি তালেবানের মধ্যে এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে৷ এছাড়া তালেবান মনে করে পোলিও টিকা হচ্ছে মুসলিম শিশুদের মধ্যে বিষ ঢোকানোর একটা ষড়যন্ত্র, যেটা খেলে শিশুরা অক্ষম হয়ে যায়৷
পাকিস্তানি তালেবানের এমন ধারণার কারণে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের অনেক অংশে পোলিও টিকা কর্মসূচি বন্ধ করতে হয়েছে৷ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িতদের লক্ষ্য করে তালেবান বেশ কয়েকবার হামলা চালানোয় এমনটা করা হয়েছে৷ এমন একটি ঘটনায় গত শনিবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে একদন পোলিও কর্মীকে লক্ষ্য করে চালানো তালেবান হামলায় ১২ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে৷
শুধু হামলাই নয়, পোলিও টিকার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে বেতারকেও বেছে নিয়েছে পাকিস্তানি তালেবান৷ সম্প্রতি এমনই তিনটি এফএম রেডিও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
তালেবানের এমন প্রচারণা যে সব মানুষই বিশ্বাস করছে তা নয়৷ তবে ছোট হলেও একটা অংশ তালেবানের কথা বিশ্বাস করে তাদের সন্তানদের পোলিও টিকা খাওয়া থেকে বিরত রাখছেন৷ ফলে পাকিস্তান থেকে পোলিওকে সমূলে উৎপাটন করা যাচ্ছে না৷
একই অবস্থা আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলেও৷ সেখানেও পোলিও কর্মসূচি বিরোধী অবস্থান সেখানকার তালেবানের৷ তবে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তালেবান সাধারণত পোলিও কর্মসূচির পক্ষেই রয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)