আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল সফর করে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, তিনি যে সব ঘটনা শুনেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, গত এক দশকে আন্তর্জাতিক সেনা হস্তক্ষেপ এবং কোটি কোটি ডলার অর্থ সাহায্যের পরও সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, বিশেষ করে নারীদের অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক৷
তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, সেখানকার সমাজকর্মীদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে তার কাছে পরিষ্কার হয়েছে, গত ১২ বছরে আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং তা নিম্নমুখী হয়েছে৷ আফগানিস্তানে এটাই নাভি পিল্লাই-এর প্রথম সফর৷
অবশ্য মানবাধিকার উন্নয়নের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়টি খুব সহজ নয়, তবে এটা অস্বীকার করারও উপায় নেই যে আফগানিস্তানে এটা চরমভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এটা উদ্বেগজনক৷ তাই আফগানিস্তানের উচিত ২০১৪ সালের পর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মত উপযুক্ত প্রস্তুতি নেয়া৷
আগামী বছরের এপ্রিলে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ঐ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৮৭ হাজার ন্যাটো সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে৷ সোমবার আফগানিস্তানের দক্ষিণে আততায়ীদের গুলিতে এক জ্যেষ্ঠ নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে পিল্লাই বলেন, নারীদের চলাফেরার বিষয়টি এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এছাড়া আফগানিস্তান ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশন এআইএইচআরসি-কে শক্তিশালী করতে আফগান প্রেসিডেন্টের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন পিল্লাই৷ কমিশনে হামিদ কারজাই-এর নতুন পাঁচ সদস্যের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তহবিল কমানোর চিন্তাভাবনা করছে বলে জানালেন তিনি৷
এছাড়া ‘এলিমিনেশন অফ ভায়োলেন্স এগেইন্সট ওমেন' বা ইভিএডব্লিউ সংস্থার কাজের ব্যাপারে পিল্লাই বলেছেন, আফগানিস্তানে সংস্থাটি বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের আইন প্রয়োগ করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ এমনকি সে দেশের সামাজিক দলগুলো নারী অধিকারের বিষয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
এপিবি/এসবি (এএফপি)